গাইবান্ধায় গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ, জাপা অফিস ভাঙচুর
গাইবান্ধা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
গাইবান্ধার শহরের স্টেশন রোডের জাতীয় পার্টি অফিসে হামলা হামলা করে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা।
ঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ নেতাকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল এবং স্থানীয় জাতীয় পার্টির অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে পুলিশের বাধা পেরিয়ে স্টেশন রোডে জাতীয় পার্টি অফিসে হামলা করে। অফিস তালাবদ্ধ থাকায় দরজা ভাঙচুর করা হয়।
গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা গাইবান্ধা জেলা কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্টেশন রোডে গাইবান্ধা জেলা জাতীয় পার্টির অফিস অভিমুখে যাত্রা করলে পুলিশি বাধায় পড়ে। পরে শহরের পুলিশ ক্যাফে সংলগ্ন গোল চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা।
সমাবেশ বক্তব্য রাখেন গণধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি শামছুজ্জামান সিদ্দিকী মামুন, সাধারণ সম্পাদক ছামিউল ইসলাম, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি রবিউল ইসলাম তুহিন, সাধারণ সম্পাদক মোনারুল ইসলাম মনা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘‘গণঅধিকার পরিষদের শীর্ষ নেতাদের উপর বর্বরোচিত হামলা গণতন্ত্র হত্যার সমান।’’ জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
সমাবেশ শেষে বিকেল ৪টার দিকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে স্টেশন রোডে জাতীয় পার্টি অফিসের দিকে যাওয়ার সময় আবার পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যদের বাধা অতিক্রম করে বিক্ষোভকারীরা রেললাইন সংলগ্ন জাতীয় পার্টির অফিসের সাইনবোর্ড ও অফিসের সার্টার ভাঙচুর করে। সংবাদ পেয়ে সেনা সদস্যরা এলে বিক্ষোভকারীরা চলে যায়।
গাইবান্ধা জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি শামছুজ্জামান সিদ্দিকী মামুন বলেন, ‘‘পুলিশ প্রশাসন এখনো স্বৈরাচার হাসিনা ও তার দোসর জাতীয় পার্টির হয়ে কাজ করছে। আজকের কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে। তারা ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টিকে রক্ষায় বল প্রয়োগ করেছে। আমরা প্রয়োজনে আবারো রক্ত দিতে প্রস্তুত রয়েছি।’’
এ বিষয়ে চেষ্টা করেও পুলিশের পক্ষ থেকে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/লুমেন/বকুল