চট্টগ্রামে পোশাক কারখানায় আগুন: হতাহত নেই, দুটি তদন্ত কমিটি গঠন
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম || রাইজিংবিডি.কম
আগুনে পুড়ে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড)- এর একটি পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এই ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিইপিজেড কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগুনে ক্ষয়ক্ষতি এবং অগ্নিকাণ্ডের উৎস সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশনস) লে. কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, দীর্ঘ ১৭ ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে আগুন এখনো পুরোপুরি নিভানো যায়নি। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। কেউ নিখোঁজ আছেন এমন কোনো তথ্যও পাওয়া যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের সময় দুপুরের খাবারের বিরতি থাকায় শ্রমিকরা সভায় কারখানার বাইরে ছিলেন। ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, “ভবনটি বর্তমানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এই ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া সিইপিজেড কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকেও পৃথক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
দীর্ঘ ১৭ ঘণ্টা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সময় লাগার বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, “ভিতরে দাহ্য বস্তু থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম মহানগরী এবং সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা স্টেশন থেকে সর্বমোট ২৫টি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। এছাড়া সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং বিজিবি’র একাধিক ইউনিটও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের সময় শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত সাড়া দেওয়ার জন্য ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক আবদুস সোবহান।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান, ভয়াবহ এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক প্রদত্ত রোবোটিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনী যৌথভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
অ্যাডাম ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইলসের ব্যবস্থাপক (ফিন্যান্স) রিফাত হাসান বলেন, “কাঁচামাল এবং কাপড় রাখা স্টোরেজ এলাকায় আগুন লাগার পর সকল শ্রমিককে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, ফলে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।”
ঢাকা/রেজাউল/এস