রাশিয়ার তেল বিক্রির নতুন কৌশল
রাশিয়ার সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সম্পর্কযুক্ত কর্মীরা ইউরোপীয় জলসীমায় গুপ্তচরবৃত্তির সাথে জড়িত। তারা দেশটির তেল বহনকারী জাহাজগুলোতে গোপনে কাজ করছে। ২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার আক্রমণের পর থেকে, মস্কো শত শত ট্যাঙ্কারের একটি তথাকথিত ছায়া বহর তৈরি করেছে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এই জাহাজগুলো রাশিয়ার বাল্টিক এবং কৃষ্ণ সাগর বন্দর থেকে তেল বহন করে। এর বদৌলতে প্রতি বছর ক্রেমলিন কয়েক মিলিয়ন ডলার আয় করে। পশ্চিমা ও ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুসারে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই জাহাজগুলো বন্দর ছাড়ার কিছুক্ষণ আগে অতিরিক্ত ক্রু সদস্য সংগ্রহ করেছে। সিএনএন এই জাহাজগুলোর জন্য দুটি ক্রু তালিকা দেখেছে যেখানে কর্মীরা মূলত অ-রাশিয়ান - তবে নথিতে তালিকার নিচে রাশিয়ান নাম এবং তাদের রাশিয়ান পাসপোর্টের বিবরণও রয়েছে।
একাধিক গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, এই ব্যক্তিদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মোরান সিকিউরিটি নামে একটি গোপন রাশিয়ান কোম্পানিতে কর্মরত। তারা জানিয়েছে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ ভাড়াটে, যারা পূর্বে রাশিয়ার ব্যক্তিগত সামরিক ঠিকাদারদের জন্য কাজ করেছে, যেমন কুখ্যাত ওয়াগনার গ্রুপ।
পশ্চিমা গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, মোরান একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা যার সঙ্গে রাশিয়ার সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থার সম্পর্ক রয়েছে।
ইউক্রেনীয় এবং পশ্চিমা গোয়েন্দা সূত্রের মতে, রাশিয়ার ছায়া বহরে মোরান কর্মীদের একাধিক ট্যাঙ্কারে রাখা হয়।
ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, তারা প্রায় ছয় মাস আগে ছায়া বহরে এই রক্ষীদের প্রবেশ পর্যবেক্ষণ করেছে।
একটি পশ্চিমা গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, একবার মোরান কর্মীরা ছায়া বহরের একটি জাহাজ থেকে ইউরোপীয় সামরিক স্থাপনার ছবি তুলেছিলেন। সূত্রটি অবশ্য বিস্তারিত জানায়নি।
ইউক্রেনের ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের ওলেকসান্ডার স্টাখনেভিচের মতে, জাহাজে থাকা রাশিয়ানদের জাহাজের ক্যাপ্টেনদের উপর নজর রাখার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। কারণ তাদের বেশিরভাগই রাশিয়ান নাগরিক নন।
ঢাকা/শাহেদ