জন্মের পরেই শিশু কান্না করে কেন?
অন্য দুনিয়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
ছবি: প্রতীকী
মায়ের গর্ভে শিশু ফুসফুস ব্যবহার করে না। জন্মের পর—শিশুকে প্রথমবার নিজে শ্বাস নিতে হয়। কান্নার সময় ফুসফুসে বাতাস ঢোকে। এতে ফুসফুসের ভেতরের তরল বের হয়ে যায়। এই কান্নাই জানিয়ে দেয়, শিশুর শ্বাসপ্রশ্বাস শুরু হয়েছে। গর্ভে শিশু মায়ের রক্ত থেকে অক্সিজেন পায়।জন্মের পর হঠাৎ—নিজে শ্বাস নিতে হয়। এ সময় রক্তসঞ্চালন ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন ঘটে। এই বড় পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়াতেই শিশু কেঁদে ওঠে।
তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তন: মাতৃগর্ভে শিশু উষ্ণ, নিরাপদ ও তরল বেষ্টিত পরিবেশে থাকে। পৃথিবীতে এসে আলো ও শব্দ দেখতে পায়। তুলনামূলক ঠান্ডা অনুভব করে। এই আকস্মিক পরিবর্তনে শিশুর কান্না স্বাভাবিক।
চিকিৎসকেরা বলেন, ‘‘শিশু জন্মেই কেন কাঁদে, তার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে মস্তিষ্কের গঠন। কান্না, হাসির মতো আবেগ মস্তিষ্কের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। যেহেতু নবজাতকের মস্তিষ্কের সার্বিক বিকাশ ধীরে ধীরে হয়, তাই আবেগগুলির প্রকাশও একে একে হতে থাকে। মস্তিষ্কের নীচের অংশ বা ব্রেনস্টেম এবং অ্যামিগডালা। জন্মের পরে এই দুইটি অংশ বিকশিত থাকে, ফলে কান্নার অভিব্যক্তিরই প্রকাশ পায় প্রথমে।’’
হাসি বা অন্যান্য সামাজিক প্রতিক্রিয়াগুলি তৈরি হয় মস্তিষ্কের উপরের অংশ সেরিব্রাল কর্টেক্সে। ওই অংশটির সম্পূর্ণ বিকাশ ধীরে ধীরে হয়। শিশু যত বাইরের পরিবেশকে চিনতে শুরু করে এবং আপনজনদের সংস্পর্শে থাকে মানুষজনের সঙ্গে পরিচিত হতে থাকে তত মুখচেনা শুরু হয় এবং হাসতে শুরু করে।
সাধারণত দেখা যায়, জন্মের ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ অর্থাৎ, দেড় থেকে দু’মাস পরে শিশু হাসতে শুরু করে।
ঢাকা/লিপি