ঢাকা     বুধবার   ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ২ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বগুড়ায় অটোরিকশা চালক হত্যায় জ‌ড়িত ২ জন গ্রেপ্তার

বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০৫, ৯ নভেম্বর ২০২৫  
বগুড়ায় অটোরিকশা চালক হত্যায় জ‌ড়িত ২ জন গ্রেপ্তার

বগুড়ায় অটোরিকশা চালককে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা

বগুড়ায় অটোরিকশা চালক মোফাজ্জল হোসেনকে (৫২) গলা কেটে হত্যার ঘটনায় জ‌ড়িত থাকার অভিযোগে দুইজন‌কে গ্রেপ্তার ক‌রে‌ছে পু‌লিশ। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি গ্যারেজ থেকে ছিনতাই করা দুইটি অ‌টোরিকশা উদ্ধার হয়েছে।

শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়ার শাজাহানপুর থানায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোস্তফা মঞ্জুর। 

আরো পড়ুন:

আরো পড়ুন: বগুড়ায় অটোরিকশা চালকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার

গত ৫ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৬টর দিকে শাজাহানপুর উপজেলার সুলতানগঞ্জ হাইস্কুলের পেছনের ঢাকা-রংপুর বাইপাস মহাসড়কের পাশ থেকে মোফাজ্জল হোসেনের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি গত ৪ নভেম্বর বিকেল থেকে অটোরিকশাসহ নিখোঁজ ছিলেন। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জেলার ধুনট উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের জয়শিং পশ্চিমপাড়ার ছোট সজিব (১৯) ও বড় সজিব (২১)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোস্তফা মঞ্জুর জানান, গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় কলোনী এলাকার চুন্নুর চাপঘরের সামনে থেকে মোফাজ্জল হোসেনের অটোরিকশা ভাড়া করেন সজিবসহ চারজন। প্রথমে মালতিনগরে যাওয়ার কথা ছিল তাদের। পরে শজিমেক হাসপাতালে যাওয়ার কথা বলে তারা। সেখান থেকে বনানী যায়। পথে সুলতানগঞ্জ স্কুলের গলিতে রিকশাটি থামায়। সেখানে তারা অটোরিকশা থেকে নামেন। পরে শাহ সুলতান কলেজের গেটে তাদের নামিয়ে দেওয়ার কথা বলে ওই চারজন। মোফাজ্জল অটোরিকশা চালানো শুরু করতেই রশি দিয়ে তার গলা পেঁচিয়ে ধরে যাত্রীরা। পরে মোফাজ্জলের গলা কেটে অটোরিকশা ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।

তিনি বলেন, “এ ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করি। মোফাজ্জলের হারা‌নো মোবাইল ধুনট উপজেলার সোহেল নামে এক ব্যক্তি ক্রয় করেন। সেই মোবাইলের সূত্র ধরে মূলত আমরা জড়িতদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করি। অভিযুক্ত সজিবের ঘরে রক্তমাখা প্যান্ট ও একটি রশি পাওয়া গেছে। এই রশির সঙ্গে মোফাজ্জলের গলায় পেঁচানো রশির মিল রয়েছে। পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই উপজেলার সোনাহাটা এলাকার একটি গ্যারেজে অটোরিকশার সন্ধান মেলে।”

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “তাইমিম নামে গ্যারেজটির মালিক সিরাজুল ইসলাম। তিনিও এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। সেখানে চোরাই অটোরিকশা নিয়ে কেটে বিক্রি করা হয়। অভিযানে আমরা আরো একটি অটোরিকশা পেয়েছি। গ্যারেজটির মালিক সিরাজুল ইসলাম পলাতক। এ ছাড়া মোফাজ্জলকে হত্যার ঘটনায় আরও দুজন এখনো পলাতক। পুলিশ তাদের খুঁজছে।”

ঢাকা/এনাম/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়