ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

ইংল্যান্ডে স্কলারশিপের আদ্যোপান্ত

ক্যাম্পাস ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০১, ১৯ নভেম্বর ২০২০  
ইংল্যান্ডে স্কলারশিপের আদ্যোপান্ত

উচ্চশিক্ষার জন্য দুই শতাব্দী ধরে বিলেত তথা ইংল্যান্ডে যাচ্ছে ভারতীয় উপমহাদেশের শিক্ষার্থীরা। বিদেশে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় বিভিন্ন কারণেই উপরের দিকে থাকে ইংল্যান্ড। একদিকে যেমন এক প্রকার সাংস্কৃতিক নৈকট্য সেই দেশে আছে তেমনি আছে বিশ্বসেরা সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

কিন্তু, বিশ্বসেরা সেসব প্রতিষ্ঠানের উচ্চশিক্ষা ব্যয় ও শিক্ষাঋণের চড়া সুদের কারণে অনেক শিক্ষার্থীকেই তাদের স্বপ্ন থেকে সরে আসতে হয়।

তবে, আগে থেকে পরিকল্পনা করে বিলেতে পড়তে যাওয়ার জন্য মাঠে নামা হলে সহজ হতে পারে শিক্ষাব্যয় জোগাড় করা। শিক্ষার্থীদের জন্য ইংল্যান্ডে অসংখ্য স্কলারশিপ চালু আছে। মেধাবী বিদেশি শিক্ষার্থীরা নিজেদের যোগ্যতার ভিত্তিতে দেশটিতে আংশিক কিংবা পুরো স্কলারশিপ পেয়ে থাকে । দেশটির সরকারি পর্যায় থেকে শুরু করে বেসরকারি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের কোর্স, বিশ্ববিদ্যালয় ও মেধার ভিত্তিতে এসব স্কলারশিপ দেয়া হয়ে থাকে।

বেশিরভাগ স্ক।লারশিপ পাওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড হলো ভাল একাডেমিক ফলাফল। তবে, এটি আপনার বিশ্ববিদ্যালয়, কোর্স এবং শিক্ষার স্তরভেদে উঠানামা করতে পারে। কিছু স্কলারশিপের জন্য আপনার সহঃশিক্ষা কার্যক্রম ও স্বেচ্ছাসেবী কোনো কাজের সনদ আপনাকে এগিয়ে রাখবে। মনে রাখতে হবে, প্রতিটি স্কলারশিপের জন্য আলাদা আলাদা মানদণ্ড রয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রাথমিক আবেদনই যথেষ্ট হতে পারে, আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে কয়েক স্তরে বিভিন্ন শর্তাবলী পূরণ করে নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করতে হতে পারে।

স্কলারশিপের পরিমাণ ইন্সটিটিউটভেদে আলাদা হয়ে থাকে। যেমন, কিছু গবেষণাভিত্তিক স্কলারশিপে স্নাতকোত্তর বা আরও উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার শতভাগ ব্যয় মেটানোর পাশাপাশি, জীবনযাত্রার ব্যয়ও মেটানো হতে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রে শতভাগ ব্যয় বহন নাও করা হতে পারে। তাই পরামর্শ হলো, পড়াশোনা শুরু করার অন্তত এক বছর আগে থেকে স্কলারশিপ খোঁজা শুরু করা। যাতে করে আপনি সবচেয়ে ভাল স্কলারশিপটির জন্য প্রতিযোগিতা করতে পারেন।

ইংল্যান্ডের বিখ্যাত দুইটি সরকারি স্কলারশিপ হলো শেভনিং স্কলারশিপ ও কমনওয়েলথ স্কলারশিপ। শেভনিং স্কলারশিপ সবার জন্য উন্মুক্ত। বিভিন্ন দেশের ব্রিটিশ দুতাবাস এই স্কলারশিপের জন্য শিক্ষার্থী যাচাই-বাছাই করে থাকে। খুবই ভালো ফলাফল এবং নেতৃত্বগুণসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপ পেয়ে থাকে।

কমনওয়েলথভুক্ত দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রিটিশ সরকার কমনওয়েলথ স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর বা পিএইচডি পর্যায়ে এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারে।
এসব ছাড়াও ইংল্যাণ্ডের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে ইংল্যান্ডের ৩০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ জনপ্রিয়। এসব স্কলারশিপের আওতায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ন্যুনতম ১৫০০ ইউরো থেকে শুরু করে ১০০০০ ইউরো পর্যন্ত বাৎসরিক অনুদান পেয়ে থাকে। এছাড়াও ১৫ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ফ্রি স্টুডেন্টশিপ পেয়ে থাকে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। তবে, সব জায়গাতেই দিতে হয় যোগ্যতার প্রমাণ।

ঢাকা/নোবেল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়