ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

গণহত্যার স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে: চুয়েট ভিসি

ক্যাম্পাস ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫১, ২৫ মার্চ ২০২৩   আপডেট: ১৮:৫৪, ২৫ মার্চ ২০২৩
গণহত্যার স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে: চুয়েট ভিসি

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, ‘৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী ভাষণের মাধ্যমে সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে কীভাবে যুদ্ধ পরিচালনা করতে হবে সেই নির্দেশনাও বঙ্গবন্ধু দিয়ে গিয়েছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর এমনই এক সম্মোহনী শক্তি ছিল যে, জীবিত বঙ্গবন্ধু ও লোকান্তরিত বঙ্গবন্ধু সমানভাবে বাঙালির উপর প্রভাব রেখেছিলেন। যার প্রমাণ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে এবং বঙ্গবন্ধু পরবর্তী আজকের এই বাংলাদেশ। ২৫ মার্চের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের বর্বরতা সম্পর্কে আমাদের বর্তমান প্রজন্মকে জানাতে হবে। তাদের মাঝে দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার চেতনা জাগ্রত করতে হবে। গণহত্যার স্মৃতিবিজড়িত অনেক বধ্যভূমি নিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সেগুলোকে উদ্ধার করে সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিশনে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’ 

আজ ২৫ মার্চ (শনিবার) দুপুর আড়াইটায় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে চুয়েট প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত গণহত্যা দিবস এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়েট ভিসি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এ.কে.এম. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী অপারেশন সার্চলাইট নামে যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায় তা পৃথিবীর ইতিহাসে নিষ্ঠুরতম। নানা চরাই-উৎরাই পেরিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ একটি নতুন দিগন্তে এসে পৌঁছে গেছে। তবুও পাকিস্তানি দোসররা এখনও তৎপর। তারা সুযোগ পেলেই ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। এদের বিষয়ে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে সজাগ থাকতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্মের কাছে এসব বার্তা পৌঁছে দিতে হবে।’

ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউট পরিচালক ও অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ, সেন্টার চেয়ারম্যানগণ, শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি ও কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দসহ চুয়েট পরিবারের শিক্ষকমণ্ডলী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মানবিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাহিদা সুলতানা। অনুষ্ঠানের শুরুতে ২৫ মার্চের গণহত্যা নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করেন উপ-পরিচালক (তথ্য ও প্রকাশনা) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান। এর আগে গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন চুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ক্বারী নুরুল্লাহ।

গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় বাদ আছর চুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত এবং কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত এক মিনিটের জন্য প্রতীকি ব্যাকআউট ও পরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।

/ফিরোজ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়