হাঁস-মুরগি ও মাছের প্রোটিনের উৎস হবে ‘কালো সৈনিক’
বাকৃবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
কালো সৈনিক পোকা বা ব্লাক সোলর্জাস ফ্লাইয়ের লার্ভা বিভিন্ন বর্জ্য ভক্ষণ করে বেড়ে ওঠে। শুকনো অবস্থায় কালো সৈনিক পোকার লার্ভা থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত উচ্চ প্রোটিন পাওয়া সম্ভব। যা প্রাণিজ প্রোটিনের একটি বড় উৎস হতে পারে।
এছাড়াও পরিণত কালো সৈনিক পোকা বিকল্প প্রোটিনের উৎস হিসেবে কাজ করে, যা খাদ্য হিসেবে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারে। প্রশিক্ষণ নিয়ে বেকার যুবক, মৎস্য এবং পোল্ট্রি খামারীরা এ পোকার চাষ করে লাভবান হতে পারবে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কালো সৈনিক পোকার লার্ভা লালন পালন সম্পর্কিত গবেষণার ফলাফল বিষয়ক কর্মশালায় মূল বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন, ‘নিরাপদ মৎস্য পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ’ শীর্ষক ভ্যালু চেইন উপ-প্রকল্পের প্রধান গবেষক ও অ্যাকোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মো আব্দুস সালাম।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, কালো সৈনিক পোকা পরিবেশবান্ধব এবং কৃষকের বন্ধু। ময়লা-আবর্জনা, পচনশীল ফলমূল, শাক সবজি, হাঁস মুরগির বিষ্টা এবং গৃহপালিত প্রাণীর মল ভক্ষণ করে কালো সৈনিক পোকার লার্ভা। এই পোকা জৈব আবর্জনার ৭১.৫ শতাংশ পর্যন্ত ভক্ষণ করে হজম করে থাকে। বর্জ্যর অবশিষ্ট অংশ বায়োডিজেল, প্রোটিন এবং কম্পোস্ট সারে রূপান্তরিত হয়।
তিনি আরও বলেন, শুষ্ক অবস্থায় এই পোকার লার্ভা থেকে ৪০-৫০ শতাংশ আমিষ, ৩০-৩৬ শতাংশ স্নেহ এবং ২০-২২ শতাংশ শর্করা পাওয়া গেছে। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ ফসফরাস, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও সোডিয়াম এই পোকার লার্ভায় রয়েছে। ময়লা আবর্জনা পুনঃব্যবহারের মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং আগামী দিনে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে কালো সৈনিক পোকা ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম নওশাদ আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ময়মনসিংহ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কুমার পাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাকোয়াকালচার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো আলী রেজা ফারুক।
এছাড়াও মাৎস্যবিজ্ঞান, পশুপালন এবং কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোর শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
/লিখন/মেহেদী/