ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

মোমবাতি জ্বালিয়ে মহাসড়কে কুবি শিক্ষার্থীরা

কুবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০৪, ১১ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ২২:০৯, ১১ জুলাই ২০২৪
মোমবাতি জ্বালিয়ে মহাসড়কে কুবি শিক্ষার্থীরা

সব ধরনের চাকরি ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বৈষম্যমূলক কোটা নিরসনের দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে পঞ্চম দিনের মত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করতে যায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশ-শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ সাংবাদিকরা আহত হন। আহতরা কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

তবে দিন গড়িয়ে রাত হলেও মহাসড়ক ছাড়েনি কুবি শিক্ষার্থীরা। তারা সেখানে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আনসার ক্যাম্প এলাকায় পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশের বাধা পেরিয়ে বিকাল ৫টার দিকে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবরোধ করেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান করতে দেখা গেছে।

আরও পড়ুন: কুবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ১০

এসময় তারা ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষ্যমের ঠাঁই নাই’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘সারা বাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীদের উপরে হামলার বিষয়ে বাংলা বিভাগের শিক্ষর্থী তাওহীদ সানি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের জন্য কোটবাড়ি বিশ্বরোড যাচ্ছিলাম। রাস্তায় পুলিশ আমাদের বাধা দেয় এবং আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের অনেক শিক্ষার্থী আহত হন। পুলিশের এ ন্যাক্কারজনক কাজের জন্য আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের কেনো পুলিশ বাধা দিবে? কেনোই-বা আমাদের উপর হামলা চালাবে? আমরা তো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি না। আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলনে যাচ্ছি। তাহলে কেনো পুলিশ ইয়াহইয়া খানের বাহিনীর মতো এতো উগ্র আচরণ করবে?

আরও পড়ুন: কুমিল্লায় পুলিশের বাধা পেরিয়ে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

লোকপ্রশাসন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী রবিউল হোসেন বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশের অতর্কিত হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। তাদের হামলায় আমার অসংখ্য ভাই আহত হয়ে মেডিক্যালে আছেন। এর সুষ্ঠু বিহিত ও আমাদের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আজ রাজপথ ছাড়ছি না। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতিও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। কারণ পুলিশ তাদের সামনেই ক্যাম্পাসের কাছে আমাদের উপর আক্রমণ চালিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী রানা বলেন, আমি নিশ্চিত নই, কত জন আহত। আমিও শিক্ষার্থীদের সঙ্গেই আছি। তবে তিনজনকে দেখেছি হাসপাতালে নিতে দেখেছি।

এ বিষয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান রাফি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। আমরা তাদের প্রতিপক্ষ না। বিষয় হচ্ছে, তারা যদি দেশের কোনো ব্যস্ততম রাস্তা বেআইনীভাবে আটকে রাখে, সে ক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্ব সেটা সচল রাখা। আমরা শুধু আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি।

উল্লেখ্য, এর আগে একই দাবিতে গত ৪, ৭, ৮ এবং ১০ জুলাই ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক প্রায় ৪ ঘণ্টা করে অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।

/এমদাদুল/মেহেদী/

ঘটনাপ্রবাহ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়