‘ব্যক্তিগত’ কারণ দেখিয়ে জাবি উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ
জাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
উপাচার্য ড. নূরুল আলম ও রেজিস্ট্রার আবু হাসান
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ‘ব্যক্তিগত ও পারিবারিক’ কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম। একইদিনে পদত্যাগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার আবু হাসানও।
বুধবার (৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বরাবর ই-মেইলে পদত্যাগপত্র প্রেরণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম।
পদত্যাগপত্রে উপাচার্য বলেন, আপনার আদেশক্রমে আমাকে গত ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জাবি উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছিল। সে অনুসারে আমি আমার দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ সচেষ্ট ছিলাম। বর্তমানে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে আমি জাবির উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করলাম। আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।
এর আগে, ২০২২ সালের ১ মার্চ অধ্যাপক মো. নুরুল আলমকে উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর একই বছরের ১৭ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে সাময়িকভাবে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাকে চার বছরের জন্য উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে গোলাগুলিসহ চরম নিপীড়ন চালায়। এ নিপীড়নে অংশ নিয়েছিল ছাত্রলীগও। এ সময় তার ভূমিকার জন্য প্রশ্নবিদ্ধ হন নূরুল আলম।
গত ৫ আগস্ট গণ-আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমেরও পদত্যাগের দাবি ওঠে। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন তিনি।
তার পদত্যাগের বিষয়ে জাবি রেজিস্ট্রার আবু হাসান বলেন, পারিবারিক কারণে আমিও পদত্যাগ করেছি। পদত্যাগের বিষয়টি আমি উপাচার্যকে মৌখিকভাবে জানিয়োছিলাম। উপাচার্যের বিশেষ অনুরোধে আজ ভার্চুয়ালি সিন্ডিকেট সভা পরিচালনা করতে হয়েছে। এরপরই আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।
তবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
/আহসান/মেহেদী/