ঢাকা     বুধবার   ২৫ জুন ২০২৫ ||  আষাঢ় ১১ ১৪৩২

ইবি উপাচার্যের কার্যালয়ে উপ-উপাচার্যের সিসি ক্যামেরা

ইবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২৩:২২, ১৫ মে ২০২৫   আপডেট: ২৩:৫৭, ১৫ মে ২০২৫
ইবি উপাচার্যের কার্যালয়ে উপ-উপাচার্যের সিসি ক্যামেরা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া উপাচার্যের কার্যালয়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার অভিযোগ উঠেছে। তবে উপাচার্যের অনুমতি ছাড়াই এ কাজ করায় ক্যামেরা খুলতে বাধ্য হন কর্মচারীরা।

জানা যায়, কয়েকদিন আগে উপ-উপাচার্যের কার্যালয়ে সিসি ক্যামেরা মেরামতের জন্য আইসিটি সেলে নোট পাঠান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী। কাজ শুরু করতে দেরি হওয়ায় আইসিটি সেলের ইলিয়াস জোয়ার্দারের মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ইউনিক কম্পিউটার নামক প্রতিষ্ঠানকে এ কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি।

গত মঙ্গলবার (১৩ মে) সিসি ক্যামেরা লাগানো হলেও বুধবার (১৪ মে) উপাচার্য আপত্তি করায় তা খুলে ফেলা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

এ ব্যাপারে ইউনিক কম্পিউটার প্রতিষ্ঠানের দোকানদার পারভেজ বলেন, “আমাদের ছেলেরা উপ-উপাচার্য স্যারের কথা অনুযায়ী সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ করেছিল। পরে কি সমস্যার কারণে খুলে রাখছে জানি না। সিসি ক্যামেরা কোথায় কোনটা সংযোগ করেছে, তাও আমি পরিষ্কারভাবে বলতে পারব না। যারা কাজ করেছে, তারা ভালো বলতে পারবে।”

সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজে নিয়জিত ইবি কর্মচারী তুষার বলেন, “উপ-উপাচার্য স্যার আমাকে বলেছিলো যে, ‘উপাচার্য স্যারের ওই জায়গায় অনেক ঝামেলা হয়। আমি অফিস থেকে যেতে দেরি হয়। এজন্য মাঝে মাঝে রাগারাগি করে। তুমি ওই জায়গায় একটা ক্যামেরা দিয়ে দাও।’ পরে আমি ক্যামেরা লাগিয়ে উপ-উপাচার্যের স্যারের অফিসে ক্যামেরাগুলোর কানেকশন করে চলে আসি।” 

ক্যামেরা খোলার বিষয়ে তিনি বলেন, “বুধবার সকালে বিল সাবমিট করতে গেলে উপাচার্য স্যার ডেকে নিয়ে রাগারাগি করে ক্যামেরা খুলে ফেলতে বলেন। পরে স্যারের কার্যালয়ের সামনের ক্যামেরা খুলে ফেলেছি।”

এ বিষয়ে উপাচার্যের পিএস গোলাম মাহফুজ মঞ্জু বলেন, “আমি ঢাকায় আছি। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। প্রক্টর স্যার ভালো বলতে পারবেন।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক মো: শাহজাহান আলী বলেন, “উপ-উপাচার্য স্যার অনেকদিন আগে আমাদের ফাইল পাঠিয়েছিল। ওই ফাইল এখনো চলমান আছে। তারপর উপাচার্য স্যার সিসি ক্যামেরা লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। এর মধ্যে আর একটা বিষয় আমি শুনেছি, উপ-উপাচার্য স্যারও ক্যামেরা লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। সে বিষয়ে আমিও নিশ্চিত না।”

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো: শাহীনুজ্জামান বলেন, “উপ-উপাচার্য স্যার তার কার্যালয়ে সিসি ক্যামেরা লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। এর মধ্যে উপাচার্য স্যারের কার্যালয়ের সামনে একটা ক্যামেরা লাগানো হয়। উপাচার্য স্যার বিষয়টি জানতে পারলে তা খুলে ফেলার নির্দেশ দেন।”

অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এম. এয়াকুব আলী বলেন, “যারা কাজ করেছে, তারা বুঝতে ভুল করেছে। আমি তাদের বলেছি তিন তলার সিঁড়িতে একটা লাগাতে, যার সংযোগ থাকবে আমার রুমে। আর উপাচার্য স্যারের রুমের সামনের ক্যামেরার সংযোগ থাকবে উপাচার্য স্যারের রুমে।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ এ নিয়ে অবশ্য কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়