আট ঘণ্টা পর মুক্ত জবি ভিসি, চলছে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
জবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
শিক্ষার্থীদের দুই দাবিতে ৮ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ-প্রক্টর-রেজিস্ট্রারসহ প্রশাসনিক ভবনের কর্মকর্তারা। তবে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নীতিমালা চূড়ান্তকরণ ও রোডম্যাপ ঘোষণা এবং সম্পূরক বৃত্তি দেওয়ার দাবিতে দুপুরে ‘নো ওয়ার্ক কর্মসূচি’ ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। পরে প্রশাসনিক ভবনের গেটে তালা দেওয়া হলে ভেতরে-বাইরে বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের কাজ থমকে যায়।
রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জবি শাখার বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদস্য সচিব শাহিন মিয়া বলেন, “আমরা তালা খুলে দিয়েছি। কিন্তু সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আমরা এখানেই অবস্থান করবো।”
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ বলেন, “আমাদের কর্মসূচিকে শিক্ষকেরা বেয়াদবি হিসেবে নিচ্ছেন। আমরা শিক্ষকদের অসম্মানিত করতে চাই না। তাই কাউকে অবরুদ্ধ করে রাখব না। তবে নিজেদের অধিকার আদায়ে আমরা শেষ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।”
এদিকে, তালা খোলার পর রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ক্যাম্পাস ছেড়ে যান। এর আগে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
পরে উপাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, “ছাত্রদের যে দুটো দাবি—জকসু নির্বাচন ও সম্পূরক বৃত্তি—এই দুটোই অগ্রসরমান। জকসুর বিষয়টি খুব দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। আর বৃত্তির দাবি অনেকটাই এগিয়ে আছে। আশা করি দুটো দাবিই পূরণ হবে, তবে একটু সময় লাগবে।”
ঢাকা/লিমন/ইভা