ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

রাবিতে রানীক্ষেত ভাইরাস প্রতিরোধ-বিষয়ক সেমিনার

রাবি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৭, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫  
রাবিতে রানীক্ষেত ভাইরাস প্রতিরোধ-বিষয়ক সেমিনার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) রানীক্ষেত ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন উৎপাদন নিয়ে সেমিনারে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ গ্যালারিতে ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স বিভাগের উদ্যোগে ‘রানীক্ষেত রোগের টেকসই নিয়ন্ত্রণের ভিত্তিতে বাংলাদেশে গ্রামীণ মুরগির উৎপাদন উন্নতকরণের জন্য অংশগ্রহণমূলক কর্ম গবেষণা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন:

সেমিনারে গবেষণা প্রকল্প পরিচালক ও রাবির ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শশি আহমেদ রানীক্ষেত ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন উৎপাদন নিয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শশি আহমেদের নেতৃত্বে পরিচালিত গবেষণায় রানীক্ষেত ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন উৎপাদনের এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের আই-টু এনডি ভ্যাকসিন ল্যাবরেটরিতে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা প্রকল্পটির সার্বিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন এবং ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় উৎপাদিত ভ্যাকসিনটির পর্যাপ্ত কার্যকারিতা পাওয়া গেছে।

সহযোগী অধ্যাপক শশি আহমেদ জানান, বাংলাদেশের কৃষি ও খামার খাত দীর্ঘদিন ধরে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হলো রানীক্ষেত ভাইরাস, যা একবার সংক্রমিত হলে একটি খামারের সব মুরগি ধ্বংস করে দিতে পারে। ফলে হাজার হাজার খামারি মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষতির শিকার হন। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় উৎপাদিত এ নতুন ভ্যাকসিন সফলভাবে প্রয়োগ করা গেলে শুধু খামার খাতই রক্ষা পাবে না, বরং দেশের অর্থনীতি উন্নতি হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মইজুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব।

তিনি বলেন, “রানীক্ষেত ভাইরাস একটি মারাত্মক রোগ, যা একটি খামারের সব প্রাণী ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। বাংলাদেশের অনেক মানুষ খামার উৎপাদনের ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু দিন দিন এ খাত অবনতির দিকে যাচ্ছে। যদি এই ভ্যাকসিন সফলভাবে প্রয়োগ করা যায়, তবে এটি আমাদের বাঁচার পথ সুগম করবে এবং খামার খাতকে রক্ষা করবে। গবেষক ও প্রকল্প দলের প্রতি আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এবং প্রজেক্ট সংক্রান্ত যেকোনো প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”

এ সময় ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কেএম মোজাফফর হোসেনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য দেন।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়