ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ইভিএমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:১৫, ১৫ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ইভিএমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান

নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের বিশিষ্ট নেতারা।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক গোলটেবিল আলোচনয় তারা এ আহবান জানান।

‘অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচনে বিশ্বব্যাপী ইভিএম প্রত্যাখ্যান এবং বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা ’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন।

বক্তারা বলেন, এই যন্ত্রের মাধ্যমে সহজেই ভোট চুরি করা যাবে। যা বিশ্বের বহু দেশে ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশও ইভিএম ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে। এই যন্ত্রের ব্যবহারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম।

অন্যদের মধ্যে সভায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক, স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের উপদেষ্টা ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কাজী মনিরুজ্জামান।

সুব্রত চৌধুরী বলেন, ইভিএম আমাদের ভোটাধিকার হরণ করবে। আমাদের আশঙ্কা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল আওয়ামী লীগ ঠিক করে রেখেছে। এখন শুধু ঘোষণার অপেক্ষায়।

ড. শাহদীন মালিক বলেন, শুধু সরকার ও নির্বাচন কমিশন ইভিএম চাচ্ছে। এর পেছনে কোনো সঠিক উদ্দেশ্য নেই। তারা নির্বাচন সামনে এলেই নতুন নতুন পদ্ধতি নিয়ে আসেন। ভোটাধিকার হরণ ও ভোট দেয়া থেকে বিরত রাখতে ইভিএম ব্যবহার করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন।

সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় সব ধরনের মানুষের মাঝে গিয়ে ভোট চায়। মেয়র প্রার্থীদের কারো অভিজ্ঞতা নেই। তবে তারা সবাই কোটিপতি। সুতরাং আমাদের গণতন্ত্র এখন কোটিপতি গণতন্ত্র। আমরা কোটিপতিদের নিয়ে একটা প্রতারণামূলক নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের উপদেষ্টা ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে নিয়ে যায় সেখানে ইভিএমে আমাদের ভোট যে চুরি হবে না সেটা কীভাবে বলা যায়? সাধারণ মানুষ এখনো ইভিএমে অভ্যস্ত নয়। সুতরাং ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ করা হোক।

মূল প্রবন্ধে ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, মূলত বাংলাদেশের বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা চরম নৈরাজ্যকর এবং নির্বাচন কমিশনের আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ। এছাড়া মানুষ নির্বাচন কমিশনের সীমাহীন অনাস্থার কারণে ইভিএমকে ভেল্কি মেশিন হিসেবে আখ্যায়িত করেন।



ঢাকা/সাওন/জেনিস

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়