ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

হাডুডু খেলায় মাতলো কিশোর-যুবকরা

বাদল সাহা, গোপালগঞ্জ  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪৪, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২  
হাডুডু খেলায় মাতলো কিশোর-যুবকরা

হাডুডু খেলায় মেতে উঠেছেন গোপীনাথপুর ও তেতুলিয়া গ্রামের যুবকরা

খেলাধুলা মানুষের শারীরিক সুস্থতা ও মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গ্রামবাংলার প্রাচীন খেলা হাডুডু একটি নির্মল আনন্দদায়ক খেলা। হাডুডু বা কাবাডি খেলা বর্তমানে আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত। তবে ঐতিহ্যবাহী এ খেলাটি এখন গ্রামবাংলা থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। রূপ নিয়েছে কেবল আনুষ্ঠানিকতায়। বিভিন্ন উৎসব বা পালা-পার্বণে এখন আয়োজন করা হয় খেলাটি। 

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে আধুনিক সভ্যতার ছোঁয়া ও কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসা হাডুডু খেলার আয়োজন করা হয় গোপালগঞ্জের জালালাবাদ ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামে। এতে ছিল না কোনো অনুষ্ঠিকতা, নেই কোন পুরস্কার। শুধুমাত্র চিত্ত বিনোদনের জন্য এ খেলায় অংশ নেন ইউনিয়নের গোপীনাথপুর ও তেতুলিয়া গ্রামের দু’টি দল। প্রতি দলে ১২ জন খেলোয়াড় অংশ নেন। কিন্তু প্রতি দলের ৭ জন খেলোয়াড় একসঙ্গে মাঠে নামেন। বাকি ৫ জন অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে ছিলেন। এক নি:শ্বাসে প্রতিপক্ষের খোলেয়াড়দের ছুয়ে দিয়ে ফিরে আসতে পারলেই পয়েন্ট দখল করে অন্য দলের খেলোয়াড়রা।

হাডুডু খেলাকে কেন্দ্র করে তেতুলিয়া গ্রামে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়। দুই গ্রামের খেলা দেখতে আশপাশের এলাকার মানুষজন আসেন। উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল মাঠজুড়ে। ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে সবাই হাত তালি দিয়ে খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেন। হাডুডু খেলায় অংশ নিতে পেরে খুশি খেলোয়াড়রা। 

খেলায় অংশ নেওয়া মাহমুদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের গ্রামে এখন আর আগের মতো খেলাধুলা হয় না। আমার সমবয়সীরা সব সময় মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকে। খেলার মাঠও কমে যাচ্ছে, যে কারণে অনেক খেলাধুলাতেই আমরা অংশ নিতে পারছি না। আজ হাডুডু খেললাম।খুব ভালো লাগছে।’

অপর খেলোয়াড় আলী হোসেন বলেন, ‘অনেক দিন পর হাডুডু খেললাম। সমবয়সীদের সঙ্গে খেলতে পারায় অনেক ভালো লাগলো।’

দর্শনার্থী রমজান মোল্যা বলেন, ‘হাডুডু খেলা হবে শুনে আমি দেখতে এসেছি। অনেক দিন পর এই খেলাটি দেখলাম ও উপভোগ করলাম।’

ইমরান হোসেন নামে অপর দর্শনার্থী বলেন, ‘এখনকার কিশোর ও যুবকদের কাছে মোবাইল ফোন নেশার মতো হয়ে গেছে। যার কারণে আমাদের কিশোর ও যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। গ্রাম গঞ্জে এমন খেলা অনুষ্ঠিত হলে কিশোর ও তরুণরা মাদকসহ মোবাইল আসক্ত থেকে রেহাই পাবে।’ 

মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়