ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বিএসইসি’র মডিউলে অভিযোগ নিষ্পত্তি ৯২.৩০ শতাংশ

নুরুজ্জামান তানিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১০, ২৯ আগস্ট ২০২১  
বিএসইসি’র মডিউলে অভিযোগ নিষ্পত্তি ৯২.৩০ শতাংশ

বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজার সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে দুই বছর আগে অনলাইন কাস্টমার কমপ্লেইন্ট অ্যাড্রেস মডিউল (সিসিএএম) চালু করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মডিউলটি (সফটওয়্যার) চালুর পর থেকেই বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ নিষ্পত্তির কার্যকারিতা দিন দিন বাড়ছে। ইতোমধ্যে গত দুই বছরে বিনিয়োগকারীদের অনলাইনে দাখিল করা মোট অভিযোগের মধ্যে ৯২.৩০ শতাংশ নিষ্পত্তি হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

এখন আগের মতো অভিযোগ নিষ্পত্তি হতে বিনিয়োগকারীদের বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। এতে বিনিয়োগকারীদের হয়রানি কমার পাশাপাশি বিএসইসি’র কাজের সক্ষমতা বাড়ছে বলে মনে করেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা।

কাস্টমার কমপ্লেইন্ট অ্যাড্রেস মডিউলে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত অর্থাৎ ৮ মাসে মোট অভিযোগ জমা পড়েছে ৩১৮টি। এর মাধ্যমে জানুয়ারিতে ৫৩টি, ফেব্রুয়ারিতে ৫০টি, মার্চে ৩৪টি, এপ্রিলে ২৪টি, মে-তে ২১টি, জুনে ৪০টি, জুলাইয়ে ৪৩টি ও আগস্টে ৫৩টি অভিযোগ রয়েছে। মোট ৩১৮টি অভিযোগের মধ্যে আগস্ট পর্যন্ত নিষ্পত্তি হয়েছে ২৫৪টি। তালিকা জানাচ্ছে এই ৮ মাসে ৯০.৮২ শতাংশ অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বাকি ৬৪টি অভিযোগ এখনো নিষ্পত্তির প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কমপ্লেইন্ট অ্যাড্রেস মডিউলটি চালু হওয়ার প্রায় দুই বছরে মোট ৮৭২টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৭৯২টি অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়েছে। অনলাইনে জমা পড়া মোট অভিযোগের ৯২.৩০ শতাংশ নিষ্পত্তি হয়েছে। প্রতিটি অভিযোগ নিষ্পত্তিতে গড়ে সময় লেগেছে ২৪.৬ দিন।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য কাস্টমার কমপ্লেইন্ট অ্যাড্রেস মডিউল নামে এ সফটওয়্যার চালু করে বিএসইসি। এ সফটওয়্যারটি বিএসইসি’র ওয়েবসাইটের সঙ্গে সম্পৃক্ত।  সফটওয়্যারটির মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ দাখিল করতে হলে নাম, ঠিকানা, ই-মেইল, মোবাইল নম্বর ও ১৬ সংখ্যার বিও হিসাব নম্বর দিতে হবে। আর সফটওয়্যারে অভিযোগ দাখিলের পর, সেখান থেকে একটি দাখিলপত্র পাবেন সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারী।

অনলাইন মডিউল চালু হওয়ার আগে বিনিয়োগকারীদেরকে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অভিযোগ লিখিতভাবে দিতে হতো বিএসইসিতে। আর অভিযোগের সেই কাগজ এক দফতর থেকে আরেক দফতরে যেতেই অনেক সময় লাগতো। তবে এখন আর সেই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না বিনিয়োগকারীদের।

এ বিষয়ে বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম রাইজিংবিডিকে বলেন,‘বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন অভিযোগ আর লিখিতভাবে দিতে হচ্ছে না। তারা অনলাইনেই অভিযোগ দাখিল করতে পারছেন। পাশাপাশি অভিযোগ নিষ্পত্তির কার্যক্রম কোন পর্যায়ে রয়েছে তাও বিনিয়োগকারী এ মডিউলটির মাধ্যমে জানতে পারছেন। ফলে বিনিয়োগকারীর অভিযোগ নিষ্পত্তির মডিউল অনেক ফলদায়ক ও কার্যকর। এই মডিউলটির মাধ্যমে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযোগ চিহ্নিত করে তা নিষ্পত্তি করা সম্ভব হচ্ছে। আগের চেয়ে অভিযোগ নিষ্পত্তির গতি অনেক বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের কাছে কাস্টমার কমপ্লেইন্ট অ্যাড্রেস মডিউলটির গ্রহণযোগ্যতা দিন দিন বাড়ছে। অভিযোগ নিষ্পত্তির কাজটি শুধু কমিশন একাই করে না। এ কাজের সঙ্গে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট অনেক পক্ষ রয়েছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সফল ভাবে অভিযোগ নিষ্পত্তি কাজ করা হচ্ছে।’

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বিএসইসি’র কাস্টমার কমপ্লেইন্ট অ্যাড্রেস মডিউলটি চালু করার পর থেকে অভিযোগ নিষ্পত্তির হার আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।’

ঢাকা/এনটি/এমএম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়