ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৩ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ওয়ালটনে বিশ্ব পরিবেশ উপলক্ষে প্লাস্টিক কালেকশন ও রিসাইকেল প্রোগ্রাম

নিউজ ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০৯, ২ জুন ২০২৫   আপডেট: ১২:০৭, ৩ জুন ২০২৫
ওয়ালটনে বিশ্ব পরিবেশ উপলক্ষে প্লাস্টিক কালেকশন ও রিসাইকেল প্রোগ্রাম

আগামী ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি সপ্তাহব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় কোম্পানির এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেফটি (ইএইচএস) বিভাগের আয়োজনে রবিবার (১ জুন) প্লাস্টিক কালেকশন ও রিসাইকেল কর্মসূচি এবং আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি) নির্ধারিত এ বছরের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘Ending Plastic Pollution এবং স্লোগান ‘Beat Plastic Pollution। যার ভাবার্থ হচ্ছে- ‘প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনি সময়’।

আরো পড়ুন:

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেফটি (ইএইচএস) বিভাগের উদ্যোগে গত ২৯ মে থেকে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টারে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন কার্যক্রম চলছে।

ইতোমধ্যে স্থানীয় স্কুলে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি এবং মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাঝে পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার (১ জুন) ওয়ালটন হেডকোয়ার্টারের পাশে ভাতারিয়া এলাকায় স্থানীয়দের পরিবেশ সংরক্ষণ ও প্লাস্টিক দূষণ সম্পর্কে সচেতন করা হয়। এসময় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলী, ইএইচএস বিভাগের প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাজুসহ হেডকোয়ার্টারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্লাস্টিক কালেকশন শেষে হেডকোয়ার্টার প্রাঙ্গণে পরিবেশ রক্ষায় করণীয় ও ওয়ালটনের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করা হয়। 

ওয়ালটনের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলী বলেন, “বেঁচে থাকার তাগিদে, জীবনধারণের জন্য মানুষ প্রকৃতিকে কাজে লাগায়। আবার, প্রকৃতি তার স্বভাব সূত্রে মানুষের বিরোধিতা করে। এই দ্বন্দ্বের ফলে পরিবেশ তার ভারসাম্য হারায়। জীবনে আনন্দকে সহজলভ্য করার জন্য, জীবনকে স্বস্তিদায়ক করার জন্য নানা ধরনের রাসায়নিক পদার্থের আবিষ্কার ও ব্যবহার পরিবেশের স্বাভাবিকতা বিনষ্ট করতে শুরু করলো। তাই পৃথিবীর পরিবেশ রক্ষায় আমাদের সচেতন হতে হবে। যত্রতত্র প্লাস্টিক, পলিথিন বর্জ্য যেন আমরা না ফেলি। ওয়ালটন পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ করে না। ওয়ালটন হেডকোয়ার্টারে ইটিপি যথাযথভাবে পরিচালনা করা হয়। এছাড়া, যতভাবে পরিবেশ ভালো রাখা যায় তার জন্য ওয়ালটন সার্বিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।” 

ইএইচএস বিভাগের প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাজু বলেন, “ওয়ালটন দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার, পরিবেশবান্ধব রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার, গাছ রোপণ করা, পানির অপচয় কমানো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার, গ্রিন বিল্ডিং স্থাপন, রিসাইকেল ও পুনঃব্যবহারযোগ্য করে মালামাল ব্যবহার করা, তরল বর্জ্য শোধন করে পুনরায় ব্যবহার করা, ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে কাগজের ব্যবহার কমানো, প্রাতিষ্ঠানিক ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ইত্যাদি। গ্লোবাল ওয়ার্মিং ও বায়ুদূষণের কারণে ইকোসিস্টেম প্রভাবিত হচ্ছে। তাই ইকোসিস্টেম ভালো রাখার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে। বর্জ্য পদার্থ রিসাইকেল করতে হবে। কাঁচ, প্লাস্টিক, অ্যালুমিনিয়াম বা খবরের কাগজ ফেলে দেওয়ার পরিবর্তে রিসাইকেল করা প্রয়োজন। এর ফলে এই বর্জ্যগুলো পোড়ানোর ফলে নির্গত ধোঁয়া পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারবে না।”

এরপর পরবর্তী অন্যান্য কর্মসূচি সম্পর্কে উপস্থিত সবাইকে জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। 

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়