ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

গভর্নিং বডি বর্জনের ঘোষণা আইডিয়াল কলেজের শিক্ষকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:১৫, ২৮ জানুয়ারি ২০২৩  
গভর্নিং বডি বর্জনের ঘোষণা আইডিয়াল কলেজের শিক্ষকদের

অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগে বর্তমান গভর্নিং বডির প্রতি অনাস্থা জানিয়ে তাদের বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষকরা। একই সঙ্গে গভর্নিং বডি গঠনে নতুন করে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন তারা। অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত করার দাবিও জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানিয়েছেন ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষকরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মীর নাসরিন শবনম। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের প্রভাষক মারুফ নেওয়াজের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন—জীববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাজমুল হুদা, ইংরেজি বিভাগের শেগুপ্তা ইসলাম ও রাজু আহম্মেদ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা বলেন, করোনাকালে আমাদের কলেজের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু, এই সময়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা ১১ কোটি টাকা গভর্নিং বডি আত্মসাৎ করেছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নামে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের হোস্টেল থেকে আদায়কৃত টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ৫০ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানের ১ কোটি টাকাও আত্মসাৎ হয়েছে। ড্রেসের নাম করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিনা রশিদে টাকা নেওয়া হয়েছে। ভালো লেখকের বই বাদ দিয়ে গভর্নিং বডির যোগসাজশে সাবেক অধ্যক্ষ পছন্দের প্রকাশনীর লেখকের বই পাঠ্য করেছে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের গভর্নিং বডির বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান। তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর যাবত তিনি এই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। গভর্নিং বডিতে অন্য সব পদে কিছুটা পরিবর্তন এলেও সভাপতির পদে ১৪ বছরে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে সাময়িক বরখাস্ত অধ্যক্ষ ও অপর দুই শিক্ষকের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ প্রাথমিক তদন্তের পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক তদন্ত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস ধরে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও আইনগত জটিলতায় আটকে আছে। এ তদন্তকাজ বাধাগ্রস্ত করতে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। যেখানে অন্য আরও ছয়জনের পাশাপাশি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতিকে প্রতিপক্ষ করা হলেও অজানা কারণে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

ইয়ামিন/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়