নিজ উপজেলায় পিটিআই হওয়ায় লোকসান হচ্ছে : গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারি উপজেলায় নিজ গ্রামে পিটিআই স্থাপন হওয়ায় লাভ নয়, বরং লস (লোকসান) হচ্ছে বলে দাবি করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ দাবি করেন প্রতিমন্ত্রী।
জাকির হোসেন বলেন, চরাঞ্চলের শিক্ষকদের সুবিধার্থে এই পিটিআই করা হচ্ছে। সেখানে আমার পরিবারের কোনো জমি নেই। তবে গ্রামের আত্মীয়-স্বজনের জমি আছে। সেখানকার জমি বাস্তব দাম সরকারি দামের (অধিগ্রহণের হার) চেয়ে তিন গুণ বেশি। এতে লাভ নয়, বরং লস (লোকসান) হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন বলেন, জমির যে হার ( অধিগ্রহণের হার) দেওয়া হয়েছে সেখানে, বাস্তবে তার চেয়ে তিন গুণ বেশি দাম। সেখানে এক শতক জায়গার দাম পাঁচ লাখ টাকা। আমি তো লোকজনের কাছ থেকে সেই জায়গা নিতে পারছি না (পিটিআইয়ের জন্য)। আপনারা বলছেন, লাভ করব, লস হচ্ছে। সরকার যে টাকা দিতে চাচ্ছে, তার চেয়ে বাজার দর বেশি। এ জন্য সাফার করছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওই এলাকাটি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সময় মুক্তাঞ্চল ছিল। নদী ভাঙন ও চরাঞ্চলের শিক্ষকদের জন্য নতুন পিটিআই করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে আমার স্বার্থ আছে কি না। হ্যাঁ, আমার স্বার্থ আছে। আমার স্বার্থ হলো চরাঞ্চলের শিক্ষকদের কষ্ট করে যাতে কুড়িগ্রাম, ময়মনসিংহে প্রশিক্ষণ নিতে না যেতে হয়। যাতে এই মুক্তাঞ্চল (মুক্তিযুদ্ধের সময়কার মুক্তাঞ্চল) শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করতে পারি, এটি আমার স্বার্থ।
পিটিআই যেখানে হবে সেই জায়গায় কোনো সম্পত্তি নেই দাবি করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি হবে আমার গ্রামে। তবে সেই গ্রামে এখন বসবাস করি না। আমাদের পৈত্রিক এলাকাটির পাশে নদী। ভাঙনের কারণে আমরা শহরটিকে ধীরে ধীরে পূর্ব দিকে নিতে যাচ্ছি। নিতে গিয়ে আমার বাড়ির সামনে পড়ে গেছে সেই জায়গাটি (পিটিআইয়ের জন্য নির্ধারিত)। সেই জায়গায় আমার কোনো সম্পত্তি নেই। তবে গ্রাম সম্পর্কে আত্মীয়-স্বজনের জমিজমা সেখানে আছে। সেখানে আমি কোনো জমি কিনিনি, এ রকম রেকর্ডও নেই।
ইয়ামিন/এনএইচ