নিষিদ্ধ টিকটক, কী ভাবছেন নুসরাত-মিমি
নুসরাত জাহান,মিমি চক্রবর্তী
ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় গত ২৯ জুন প্রজ্ঞাপন জারি করে টিকটক সহ কমপক্ষে ৫৯টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে। ভারতীয় মোবাইল এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ভারতের শোবিজ অঙ্গনের অনেক তারকা টিকটিক অ্যাপে সক্রিয়। অনেকে এখান থেকে মোটা অঙ্কের অর্থও আয় করে থাকেন।
টলিউড অভিনেত্রী ও তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহানও বড় পর্দার মতো টিকটকে জনপ্রিয়। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময় টিকটকে যুক্ত হন তিনি। তারপর বাড়তে থাকে তার অনুসারীর সংখ্যা। গতকাল পর্যন্ত নুসরাতের অনুসারী সংখ্যা ১৪ লাখ। টিকটক বন্ধের বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এ অভিনেত্রী।
নুসরাত জাহান বলেন—ভক্তদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার একটি মাধ্যম টিকটক। দেশের স্বার্থে যদি এই অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়, সে ক্ষেত্রে আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
তবে যারা চীনা পণ্য আমদানি-রপ্তানি করে থাকেন তাদের কী হবে—এই প্রশ্ন তুলেছেন নুসরাত। তার ভাষায়—যেসব মানুষ চীন থেকে দ্রব্য আমদানি করেন তাদের কী হবে? এই দুঃসময়ে কি তারা কাজ হারাবেন?
তবে নুসরাত ভক্তদের মন খারাপের কিছু নেই। কারণ তিনি কথা দিয়েছেন—টিকটক বন্ধ হলেও ইনস্টাগ্রামে ভক্তদের সঙ্গে ভালোবাসা ভাগ করে নেবেন।
টিকটকে নুসরাত জাহান যতটা সক্রিয় ছিলেন, ততটা ছিলেন না আরেক অভিনেত্রী ও তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। মাঝে মধ্যে টিকটকে ভিডিও নিয়ে হাজির হতেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে মিমি চক্রবর্তী বলেন—ইউটিউবে নিজের নামে চ্যানেল খুলেছি। আমি একজন পারফর্মার। আমার কাছে সব প্ল্যাটফর্মই সমান। তাই মাঝে মাঝে টিকটকে ভিডিও পোস্ট করতাম। দেশের জন্য কাল যদি আরো চারটি অ্যাপ বন্ধ হয় তাতেও আমার কোনো অসুবিধা নেই।
টিকটক চ্যালেঞ্জে অংশ নিতে গিয়ে অনেকের প্রাণহানি হয়েছে। তা জানিয়ে মিমি চক্রবর্তী বলেন—যে অ্যাপ মানুষের ক্ষতি করেছে তা চীনের হোক বা ভারতের, সেটা বন্ধ হওয়াই কাম্য।
ঢাকা/শান্ত
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন