শোলের অজানা কিছু তথ্য
মনিরুল হক ফিরোজ || রাইজিংবিডি.কম
শোলে সিনেমার পোস্টার
বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের সর্বকালের অন্যতম সেরা সিনেমা শোলে। পরিচালক রমেশ সিপ্পির এই সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। মুক্তির পর অভাবনীয় সাফল্য পাওয়া এই সিনেমাটি ২০১৫ সালের ১৫ আগস্ট পূর্ণ করল ৪০ বছর। সিনেমাপ্রেমীদের মনে দীর্ঘস্থায়ী জায়গা করে নেওয়া শোলে সিনেমাটির কিছু অজানা তথ্য জেনে নিন। তথ্যগুলো প্রকাশ করেছে জি নিউজ বাংলা।
* শোলে সিনেমাটির অন্যতম স্ক্রিপ্ট রাইটার সেলিম খান। সেলিম খানের বাবা বলদেব সিং চরকের নামে সঞ্জীব কুমারের চরিত্রের নাম সিনেমায় রাখা হয় ঠাকুর বলদেব সিং।
* ঠাকুর বলদেব সিংয়ের চরিত্রে অভিনয় করতে ইচ্ছুক ছিলেন ধর্মেন্দ্র। পরিচালক যখন বলেন বীরুর চরিত্রে তাহলে অভিনয় করবেন সঞ্জীব কুমার, সেটা শুনে ধর্মেন্দ্র বীরু চরিত্রে রাজি হয়ে যান। কেননা, হেমা মালিনীর প্রেমে তখন হাবুডুবু খাচ্ছিলেন ধর্মেন্দ্র। আর অন্যদিকে সঞ্জীব কুমারও পছন্দ করতেন হেমা মালিনীকে।
* টানা ২০ দিন ধরে শুটিং হয়েছিল ট্রেনে ডাকাতি দৃশ্যের।
* জয়ের চরিত্রের জন্য প্রথম পছন্দ ছিল শত্রুঘ্ন সিনহা। কিন্তু অমিতাভ বচ্চন প্রযোজকদের বোঝান তিনিই এই চরিত্রের জন্য সেরা।
* জয়ের চরিত্রের জন্য অমিতাভের নাম সাজেস্ট করেন সেলিম খান।
* ‘আ কাওয়ালি’, ‘কে চান্দ সা কোই চেহেরা’- গান দুটি রেকর্ড করার পর সিনেমার দৈর্ঘ্যের কথা ভেবে পরে বাদ দেওয়া হয়। গান গেয়েছিলেন মান্না দে, কিশোর কুমার, ভূপেন্দ্র ও গীতিকার আনন্দ বক্সি।
* ‘অ্যায় মেরে ওয়াতনকে লোগো’ নাটকে আমজাদ খানের অভিনয় দেখে গাব্বার চরিত্রের জন্য পছন্দ করেন জাভেদ আখতার।
* সাম্বার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ২৭ বার বম্বে থেকে ব্যাঙ্গালোরে যাতায়াত করেন ম্যাক মোহন। পুরো সিনেমায় একটাই আইকনিক সংলাপ ছিল তার, ‘পুরে পচাশ হাজার।’
* মোটামুটি ৩ কোটি টাকার বাজেটে তৈরি হয়েছিল শোলে।
* ‘মেহবুবা মেহবুবা’ গানটি গাওয়ার কথা ছিল মান্না দের। কিন্তু আর ডি বর্মণের গলায় রেকর্ড হওয়ার পর তা এতই পছন্দ হয় মান্না দের যে উনি নিজেই বলে দেন ওটাই চূড়ান্ত।
* সিনেমাটির হীরকজয়ন্তী উপলক্ষে সিনেমার সব মূল চরিত্রাভিনেতাকে সোনার ব্রেসলেট উপহার দেন প্রযোজক জি.পি. সিপ্পি।
* কয়েন টস করার দৃশ্যের জন্য বানানো হয়েছিল ৬টি বিশেষ কয়েন।
* প্রায় ২০ দিন লেগেছিল সূর্যাস্তের পর রাধার প্রদীপ জ্বালানোর দৃশ্যের শুট করতে। কিন্তু সিনেমায় তা ছিল মাত্র ২ মিনিট।
* সিনেমার কাজ সম্পূর্ণ হতে লেগেছিল আড়াই বছর।
* সিনেমাটিতে সঞ্জীব কুমারের ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেন বলিউডের বর্তমান তরুণ অভিনেতা শারমান জোশির বাবা অরবিন্দ জোশি।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ আগস্ট ২০১৫/ফিরোজ
রাইজিংবিডি.কম