ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সেদিন সত্যজিৎ রায়কে দেখতে লক্ষাধিক মানুষ এসেছিল

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩৩, ২১ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১৭:২৬, ২১ জানুয়ারি ২০২১
সেদিন সত্যজিৎ রায়কে দেখতে লক্ষাধিক মানুষ এসেছিল

‘‘পথের পাঁচালী আমাকে এতটাই নাড়া দিয়েছিল যে, ‘মহানগর’ সিনেমা দেখার জন্য সেই বালক বয়সে প্রায় ৩৩০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নীলফামারি থেকে ঢাকা এসেছিলাম। ১৯৭২ সালে ঢাকার পল্টন ময়দানে সত্যজিৎ রায় এসেছিলেন, তাকে দেখার জন্য লক্ষাধিক মানুষ এসেছিল।’’—স্মৃতিচারণ করে কথাগুলো বলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর (এমপি)।

শুরু হয়েছে ঊনবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এই উৎসবের অংশ হিসেবে বুধবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয় ‘সত্যজিৎ রায়: জাতীয় নাকি বৈশ্বিক’ শীর্ষক সেমিনার। এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আসাদুজ্জামান নূর। আর এ সময় সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

সেমিনারে অনলাইনে যোগ দেন ভারতীয় উপমহাদেশের বরেণ্য অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে তিনিও স্মৃতিচারণ করেন। এ অভিনেত্রী বলেন—‘তখন রায় সাহেব অতটা অবস্থাসম্পন্ন ছিলেন না, খুব বেশি অর্থকড়ি ছিল না তার। একটা শট দু থেকে তিনবারের বেশি নেওয়ার সুযোগ ছিল না, সেই অবস্থা থেকে বিশ্বদরবারে জননন্দিত হয়ে ওঠার পেছনে শ্রম ও মেধার অবদানই বেশি। তরুণ নির্মাতাদের জন্য সত্যজিৎ রায় অনেক বড় অনুপ্রেরণার নাম।’

কলকাতা থেকে অনলাইনে সেমিনারে যোগ দেন আরেক বর্ষীয়াণ অভিনেতা ধৃতিমান চ্যাটার্জি। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বলেন—‘সত্যজিৎ রায় কোনো নির্দিষ্ট জাতিসত্তার নন, তিনি সারা বিশ্বের চলচ্চিত্রাঙ্গনে এক দৃষ্টান্ত। সত্যজিৎ একমাত্র নির্মাতা যে সিনেমায় রাজনীতিকে এত জীবনঘনিষ্টভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছেন।’

সেমিনারের মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক। প্রবন্ধ থেকে তিনি উল্লেখ করেন, ‘জীবন যে মসৃণ কোনো পথ নয়, বরং খাড়া পাহাড়ি ঢালের মতো বন্ধুর, সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র সেই শিক্ষাই দেয়।’ সেমিনারে সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র জীবন, জাতীয় ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আরো কথা বলেন বিচারপতি রিফাত চৌধুরী এবং চলচ্চিত্র সমালোচক মঈনুদ্দীন খালেদ।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়