বিয়ের আট মাস পর দেবলীনা-গৌরবের মধুচন্দ্রিমা

বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মহানায়ক’ খ্যাত অভিনেতা উত্তম কুমার। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে তার নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায় দ্বিতীয়বারের সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন প্রেমিকা দেবলীনার সঙ্গে। তারপর ৮ মাস কেটে গেলেও মধুচন্দ্রিমার ফুসরত মেলেনি তাদের। অবশেষে এই তারকা দম্পতি গোয়ায় মধুচন্দ্রিমা উদযাপন করছেন।

মহানায়কের নাতবউ তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানিয়েছেন—‘দু’টিতে ছুটিতে! বিয়ের আট মাস পরে মধুচন্দ্রিমার অবকাশ মিললো।’ মজা করে এই অভিনেত্রী মধুচন্দ্রিমার নাম দিয়েছেন—‘হাফ ইয়ার্লি হানিমুন’। করোনা সংকটের কারণে দেশের বাইরে যাওয়া নিষেধ। তাই গোয়া-ই আপাতত তারকা দম্পতিদের পছন্দের জায়গা।

এ অভিনেত্রীর পোস্ট করা দুটি ছবিতে দেখা যায়, সেখানকার একটি অভিজাত রেস্তোরাঁর বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন দেবলীনা। তার পরনে কালো ছোট টপ, সাদা হাই ওয়েস্ট প্যান্ট। চোখে রোদচশমা। ছবিতে গৌরব নেই। সম্ভবত তিনিই এসব ছবি তুলেছেন। তার পেছনে নারকেল গাছ। মাথার উপরে ঝকঝকে নীল আকাশ। দূরে সমুদ্র সৈকত।

আড়াই বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর গাঁটছড়া বাঁধেন গৌরব-দেবলীনা। গত বছরের ৯ ডিসেম্বর হিন্দু মতে বিয়ে করেন তারা। ১৩ ডিসেম্বর ইসলাম ধর্ম অনুসারে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয় তাদের। গত ১৫ ডিসেম্বর কলকাতার বাইপাসের ধারে পি সি চন্দ্র গার্ডেনে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেদিন খ্রিষ্টান ধর্ম মতে বিয়ের পর্ব সারেন এই প্রেমিক যুগল।

দেবলীনার প্রথম হলেও গৌরবের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। ২০১৩ সালে অভিনেত্রী অনিন্দিতা বসুর সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন গৌরব। কিন্তু তিন বছর পরই সম্পর্কে ইতি টানেন তারা। কিন্তু দেবলীনার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালেন কীভাবে? এ প্রশ্নের উত্তরে দেবলীনা জানান, গৌরবের বোন মৌ তার বান্ধবী। সেই সূত্রে তাদের পরিচয়। আর মৌয়ের বিয়েতে একসঙ্গে নেচেছিলেন দেবলীনা-গৌরব। তারপর শুরু হয় মনের লেনাদেনা। ধীরে ধীরে শক্ত হয় তাদের সম্পর্কের বাঁধন। দেবলীনা তৃণমূল নেতা দেবাশিস কুমারের মেয়ে।

উত্তম কুমার ও গৌরী দেবী দম্পতির একমাত্র সন্তান গৌতম চট্টোপাধ্যায়। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৫৩ বছর বয়সে মারা যান তিনি। গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের পুত্র গৌরব চট্টোপাধ্যায়, উত্তম কুমারের একমাত্র নাতি। ১৯৬৩ সালে উত্তম কুমার তার পরিবার ছেড়ে চলে যান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অর্থাৎ দীর্ঘ ১৭ বছর জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবীর সঙ্গে বসবাস করেন তিনি।

২০০৬ সালে ‘ভালোবাসার অনেক নাম’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন গৌরব চট্টোপাধ্যায়। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো—‘কে তুমি নন্দিনী’, ‘পথের শেষ কোথায়’, ‘রং মিলান্তি’, ‘ইতি’, ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ প্রভৃতি।