ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

১৪টি ভাষার পাঠ্যপুস্তকে গায়ক জুবিনের জীবনী

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০২, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১৯:০২, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১৪টি ভাষার পাঠ্যপুস্তকে গায়ক জুবিনের জীবনী

জুবিন গার্গ

কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের প্রতি সম্মান জানিয়ে তার জীবনী আসামের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আসাম বিদ্যালয় শিক্ষা পরিষদ। এই ঘোষণা জুবিন গার্গের বাসভবন কাহিলিপাড়ায় দেওয়া হয়। 

ইন্ডিয়া টুডে (নর্থ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জুবিন গার্গের জীবনী আধুনিক ভারতীয় ভাষা (এমআইএল) পাঠ্যক্রমে ১৪টি প্রধান ভারতীয় ভাষায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এতে করে আসামসহ সারা দেশের শিক্ষার্থীরা জুবিন গার্গের অসাধারণ জীবনযাত্রা, শিল্পীসত্তা এবং মানবতার দর্শনের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে।

আরো পড়ুন:

এদিকে, গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ও এই শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের সেন্টার ফর পারফরর্মিং আর্টস অ্যান্ড কালচারের নাম পরিবর্তন করে জুবিন গার্গের নামে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর, এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।

এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে জুবিন গার্গের একটি মূর্তি স্থাপন করা হবে, যাতে তার উপস্থিতি ভবিষ্যৎ ছাত্র-ছাত্রী ও আগত শিল্পীদের অনুপ্রেরণা যোগাতে পারে। তার সংগীত জীবন ও অর্জন নিয়ে একটি কফি টেবিল বইও প্রকাশ করা হবে। 

তাছাড়া জুবিন গার্গের সম্মানে গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের আন্তঃকলেজ যুব উৎসবে ‘জুবিনের গান’ নামে একটি নতুন বিভাগ চালু করবে। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে নতুন প্রতিভাবানদের উৎসাহিত করা হবে, জুবিনের অমর সংগীত পরিবেশন এবং তার শিল্পসত্তাকে এগিয়ে নিতে। 

‘কিং অব হামিং’খ্যাত গায়ক জুবিন গার্গ গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে মারা যান। নর্থ-ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে গিয়ে মারা যান এই শিল্পী। গত ২৩ সেপ্টেম্বর, গুয়াহাটির কামারকুচি এনসি গ্রামে অনুষ্ঠিত হয় তার শেষকৃত্য। 

১৯৭২ সালের ১৮ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন জুবিন গার্গ। তিনি একাধারে ছিলেন গায়ক, সংগীত পরিচালক, সুরকার, গীতিকার, সংগীত প্রযোজক, অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক। ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত যুব মহোৎসব পাশ্চাত্য একক পরিবেশনায় স্বর্ণপদক লাভ করার পর জুবিনের জীবন বদলে যায়। ১৯৯২ সালে অসমিয়া অ্যালবাম ‘অনামিকা’ মুক্তির মাধ্যমে জুবিন পেশাদার সংগীতজগতে প্রবেশ করেন।    

২০০৬ সালে ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমায় ‘ইয়া আলি’ গান গেয়ে তাক লাগিয়ে দেন জুবিন। তারপর বেশ কয়েকটি সুপারহিট গান উপহার দেন তিনি। পরে বলিউডে খুব একটা কাজ করতে দেখা যায়নি তাকে। তবে আসামের আঞ্চলিক সংগীত নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিলেন এই শিল্পী।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়