মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত শপথ
নোবিপ্রবি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) মাদকাসক্তি প্রতিরোধে তরুণ সমাজকে সচেতন, গবেষণামুখী ও কার্যকর উদ্যোগে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে “Substance Abuse Prevention: Youth Engagement & Research Initiative 2025” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠান শেষে মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে শিক্ষার্থীদের নিয়ে সম্মিলিত শপথ পাঠ পরিচালিত হয়।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন মিলনায়তনে আয়োজিত এ সেমিনারে শিক্ষার্থীরা কুইজ কন্টেস্ট, পোস্টার প্রেজেন্টেশন ও রিসার্চ আইডিয়া কন্টেস্ট; এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সেগমেন্টে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন। কীনোট স্পিকার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর(ডিএনসি), নোয়াখালীর উপ-পরিচালক জনাব সুব্রত সরকার শুভ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রাজিউল হক এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হানিফ (মুরাদ)।
এছাড়াও, সেমিনারের প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি), চট্টগ্রামের পরিচালক জনাব মাজহারুল ইসলাম। বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডিএনসি, চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক জনাব জাহিদ হোসাইন মোল্লা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আমরা দুইটি বিষয়ে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি; একটি মাদক, অন্যটি র্যাগিং ও বুলিং। আমাদের কাছে কোনো শিক্ষার্থী মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য এলে সঙ্গে সঙ্গে প্রক্টোরিয়াল টিম পাঠানো হয়। যারা ইতোমধ্যে মাদকাসক্ত হয়ে গেছে, তারাও আমাদের সমাজের অংশ—তাদের নৈতিক অবস্থান থেকে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা সবাই মিলে যতই ভালো কাজ করি না কেন, সমাজে একটি খারাপ অংশ থেকেই যায়। আমরা সেই নেতিবাচক দিকগুলো বন্ধ করতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবসময় সতর্ক রয়েছে এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। আপনাদের সহযোগিতা পেলে আমরা আরো এগিয়ে যেতে পারব।”
অনুষ্ঠানে বক্তারা মাদকাসক্তির ভয়াবহতা, এর সামাজিক ও মানসিক প্রভাব এবং তরুণদের গবেষণা ও সচেতনতামূলক উদ্যোগের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সেমিনারটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার প্রত্যয়ে একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হয়। সর্বশেষ মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে শিক্ষার্থীদের নিয়ে সম্মিলিত শপথ পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা/শফিউল্লাহ/জান্নাত