ঢাকা     সোমবার   ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১ ১৪৩১

ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা থেকে বাঁচতে হলে লাগবে পূর্ণ চিকিৎসা 

ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৫০, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১৫:০৭, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা থেকে বাঁচতে হলে লাগবে পূর্ণ চিকিৎসা 

ছবি: প্রতীকী

জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে গিয়ে দেখা, আগে চিকিৎসা নিয়েছেন এমন যক্ষ্মা রোগীরা আবার ভর্তি হয়েছেন। যক্ষ্মা ধরা পড়েছে, এরপর চিকিৎসাও শুরু করেছেন। কিন্তু নিয়মিত ওষুধ খাননি বা কয়েকদিন খেয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন বা নিয়মিত ফলোআপ করেননি এমন রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। 

চিকিৎসা শেষ না করায় এই রোগীরা আবার আক্রান্ত হয়েছে ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মায়। যক্ষ্মার চিকিৎসা কেউ সম্পূর্ণ শেষ না করলে বা ঔষধ কিছুদিন থেকে বন্ধ করে দিলে আমার যেই যক্ষ্মায় মানুষ আক্রান্ত হয় তাকে ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা বা Multidrug-resistant tuberculosis (MDR TB)/এমডিবার টিবি বলে। 

হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এমডিআর টিবি-তে আক্রান্ত আব্দুল খালেক (ছদ্মনাম) এর সাথে আমাদের কথা হয়। কেন এবং কীভাবে তিনি আবার যক্ষ্মায় আক্রান্ত হলেন এমন প্রশ্নে তিনি জানান, যক্ষ্মা হবার পর তিনি সাথে সাথে চিকিৎসা করান, কিন্তু কিছুদিন ঔষধ সেবনের পর সুস্থবোধ করেন। এরপর ঔষধ সেবন বন্ধ করে দেন। ঠিক আট মাস পরে তার কাশি শুরু হলে তিনি আবার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, তার ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা হয়েছে। 

যক্ষ্মা আক্রান্ত হবার পর নিয়মিত ওষুধ খাননি বা কয়েকদিন খেয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন বা নিয়মিত ফলোআপ করেননি বা সচেতন ছিলেন না- কমপক্ষে আরও ৩ জন রোগীর সাথে কথা বলেছি। তারাও জানালেন তাদের অসচেতনার কথা।

২০২২ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ূ২০২১ সালে ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৫০০ জন। যার মধ্যে ১৪৮৮ জন চিকিৎসা শুরু করেছিলেন। আর জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ২০২৩ সালে ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগী ভর্তি হয় ৪৯৭ জন।

বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ড. আব্দুস শাকুর খান বলেন, বাঁচতে হলে যক্ষ্মার চিকিৎসা শেষ করতেই হবে। না হলে সেটি আরও ভয়ঙ্কর রূপে দেহে ফিরে আসবে। যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে ঘরের পাশেই এখন সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। বাঁচতে হলে যক্ষ্মা চিকিৎসা পূর্ণ করার কোনও বিকল্প নেই। 

বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞরা বলেন, যক্ষ্মার চিকিৎসা হয় এখন ঘরের কাছেই। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলে এর চিকিৎসা। আর সারাদেশে ১১ শত’র বেশি ডটস সেন্টারে পাওয়া যায় বিনামূল্যে ঔষধ। নিরাময়ের জন্য যক্ষ্মার চিকিৎসার শেষ করার ওপর বারবার গুরুত্বারোপ করছেন চিকিৎসকরা।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী 

ঢাকা/সুমি/এনএইচ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়