ঢাকা     সোমবার   ০৬ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেন-ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তার বিল পাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১৫, ২৪ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ১৪:১২, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেন-ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তার বিল পাস

কয়েক মাস বিলম্বের পর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে অবশেষে পাস হলো বৈদেশিক সামরিক সহায়তা বিল। ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অগ্রাভিযান ও কিয়েভের সামরিক সরবরাহে ঘাটতির মধ্যে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মার্কিন কংগ্রেসে কোটি ডলার মূল্যের বিলটি পাস করা হয়।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিলটি পাস হওয়ার ফলে ইউক্রেনকে নতুন করে সামরিক সহায়তা দেওয়ার পথ বাইডেন প্রশাসনের জন্য সুগম হলো।

কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইউক্রেনসহ চারটি সহায়তা বিলে ভোট হয়। এই বিলগুলোর প্রথমটি ইউক্রেনের জন্য ৬ হাজার ১০০ কোটি ডলার সহায়তা, দ্বিতীয়টি ইসরায়েলের জন্য দুই হাজার ৬০০ কোটি ডলার সহায়তা, তৃতীয়টি তাইওয়ানসহ এশিয়া প্যাসিফিক মিত্রদের জন্য ৮১২ কোটি ডলারের সহায়তা ‘কমিউনিস্ট চীনকে মোকাবেলা করার জন্য’ এবং চতুর্থটিতে টিকটক অ্যাপ নিষিদ্ধ করা, ইউক্রেনে জব্দ করা রাশিয়ার সম্পদ স্থানান্তরে পদক্ষেপ নেওয়া ও ইরানে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সিনেটে বিলগুলো অনুমোদিত হয় ৭৯-১৮ ভোটে।

ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে সহায়তা দেওয়াসংক্রান্ত বিল নিয়ে অনেক দিন ধরে নানা মহলে আলোচনা–সমালোচনা চলছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সহায়তা প্রস্তাব নিয়ে চাপে ছিলেন। প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানরা কয়েক মাস ধরে বিলটিতে ভোটাভুটিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিল। তবে চলতি সপ্তাহের শুরুতে বিলটিপাস করে প্রতিনিধি পরিষদ। ওই ঘটনাকে বাইডেনের বড় বিজয় হিসেবে দেখেন বিশ্লেষকদের অনেকে। এখন সিনেটও বিলগুলো অনুমোদন দিল।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ বুধবার বিলগুলোতে স্বাক্ষর করে এটিকে আইনে পরিণত করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর মাধ্যমে ইসরায়েল ও ইউক্রেনকে সামরিক ও মানবিক সহায়তা দিতে বাইডেন প্রশাসনের সামনে আর কোনো বাধা থাকবে না।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি ইউক্রেনের জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ’ সহায়তা অনুমোদনের জন্য মার্কিন আইন প্রণেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেন,  ‘এই পদক্ষেপ গণতন্ত্রের আলোকবর্তিকা এবং মুক্ত বিশ্বের নেতা হিসেবে আমেরিকার ভূমিকাকে শক্তিশালী করবে।’

/ফিরোজ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়