ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল আরেকটি দেশ
ইসরায়েল ও হামাসের চলমান সংঘাতের মধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে উত্তর আফ্রিকার দেশ বাহামা। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বেশ কিছু রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাহামা এবার এই তালিকায় যোগ দিল।
বুধবার (৮ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাহামার পররাষ্ট্র মঙ্গলবার (৭ মে) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাহামার মন্ত্রিসভা আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘ সনদের মূলনীতির প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাশাপাশি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের স্বীকৃতির কথাও বলা আছে এতে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাহামা ফিলিস্তিনি জনগণের অবাধে তাদের রাজনৈতিক মর্যাদা নির্ধারণ ও অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক উন্নয়ন অনুসরণ করার আইনি অধিকারকে সমর্থন করে।’
এর আগে গত সপ্তাহে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সরকার ঘোষণা করেছে, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। এছাড়া গত মাসের শেষের দিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত বেশ কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে ইতিমধ্যে ১৪০টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ফিলিস্তিন বর্তমানে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে রয়েছে।
ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য গত মাসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছিল। ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের সদস্যপদ দেওয়া হোক’। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১২ সদস্য ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত থাকে যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড। তবে নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়।
/ফিরোজ/
আরো পড়ুন