মার্কিন প্রস্তাব গাজায় হত্যা ও দুর্ভিক্ষের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করবে: হামাস
ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে তা শুধু গাজায় ‘হত্যা ও দুর্ভিক্ষের ধারাবাহিকতাকেই’ নিশ্চিত করবে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের এক কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছিলেন, ইসরায়েল ইতিমধ্যে ওয়াশিংটনের নুতন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ প্রস্তাবটি পর্যালোচনার জন্য হামাসের কাছে পাঠিয়েছেন।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য বাসেম নাইম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এই চুক্তি আমাদের জনগণের কোনো দাবিই পূরণ করে না। দাবিগুলোর অন্যতম হলো যুদ্ধ বন্ধ করা।’
তবে তিনি বলেছেন, “হামাস নেতৃত্ব বর্তমানে নতুন প্রস্তাবের একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং দায়িত্বশীল পর্যালোচনা করছে। এই মূল্যায়ন জাতীয় দায়িত্বের গভীর অনুভূতি এবং তার ভূমিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার ও ভবিষ্যত রক্ষার জন্য দৃঢ় অঙ্গীকার দিয়ে পরিচালিত হয়।”
হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি রয়টার্সকে বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এ প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেয়নি ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনাদের গাজা উপত্যকা থেকে প্রত্যাহারের কথাও বলা হয়নি। যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর বিষয়েও কোনো স্পষ্ট নিশ্চয়তা নেই।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে কয়েক দফা যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্বল্পমেয়াদী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও মার্চে পুনরায় গাজায় আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে গভীর মতপার্থক্যের কারণে গাজায় নতুন যুদ্ধবিরতির চেষ্টা বারবার ভেস্তে গেছে। ইসরায়েলের দাবি, হামাসকে পুরোপুরি নিরস্ত্র হতে হবে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির দাবি, ইসরায়েলি সেনাদের গাজা থেকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করতে হবে।
ঢাকা/শাহেদ