ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৯ জুন ২০২৫ ||  আষাঢ় ৫ ১৪৩২

ইকুয়েডরে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরো ১ মাস বাড়ল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৮, ১১ জুন ২০২৫   আপডেট: ১১:৩৮, ১১ জুন ২০২৫
ইকুয়েডরে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরো ১ মাস বাড়ল

ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া দেশটির সাতটি প্রদেশ এবং রাজধানী কুইটোতে ‘গুরুতর অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার’ কারণে ‘জরুরি অবস্থা’ আরো ৩০ দিনের জন্য বাড়িয়েছেন।

ইকুয়েডর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার (১০ জুন) প্রেসিডেন্ট নোবোয়া একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে নিরাপত্তা বাহিনী সংগঠিত অপরাধের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করার পর থেকে চলমান ‘অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘাতের’ মধ্যে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

গুয়াইয়াস, লস রিওস, মানাবি, এল ওরো এবং সান্তা এলেনার উপকূলীয় প্রদেশগুলোর পাশাপাশি আমাজনীয় প্রদেশ ওরেলানা এবং সুকুম্বিওস এবং কুইটোর মেট্রোপলিটন জেলায় এপ্রিল থেকে জরুরি অবস্থা কার্যকর রয়েছে।

‘জরুরি অবস্থার চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো জনশৃঙ্খলা, সামাজিক শান্তি এবং নাগরিকদের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা’, নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে।

নোবোয়া জাতীয় প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সেইসঙ্গে কৌশলগত গোয়েন্দা সংস্থাকে, সব প্রাসঙ্গিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে এই ডিক্রি বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট বলেন, “সরকার নাগরিকদের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য স্বাভাবিক সব পদক্ষেপ নিয়েছে, কিন্তু ‘সহিংসতার বৃদ্ধি’ বিবেচনা করে জরুরি অবস্থার মতো অস্বাভাবিক ও অস্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।”

সশস্ত্র বাহিনীর যৌথ কমান্ডের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নোবোয়া বলেন, “অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘাতে জড়িত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ‘সহিংসতার তীব্রতা অর্জন করেছে যা জনশৃঙ্খলাকে গুরুতরভাবে ব্যাহত করছে’ ও উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “সহিংসতা ও অপরাধের হার উচ্চ রয়ে গেছে, অপরাধী গোষ্ঠীগুলো নতুন জোট তৈরি করেছে, অনেক অপরাধী গোষ্ঠী তাদের ক্ষমতা বজায় রেখেছে এবং হুমকি তৈরি করছে। গুরুতর কিছু অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।” 

প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, “যদিও সামরিক অভিযানের মাধ্যমে এই হুমকিগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা হচ্ছে এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই করা হচ্ছে, তবুও বিভিন্ন শক্তিশালী নেটওয়ার্ক ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিচালিত সংগঠিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হাতে প্রচুর পরিমাণে মাদক, অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং উচ্চ-ক্ষমতার বিস্ফোরক পাওয়া যাচ্ছে।”

ইকুয়েডরের ৩৫ বছর বয়সি প্রেসিডেন্ট গত বছরের নভেম্বরে দায়িত্বে এসেছেন। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তিনি অপরাধী গোষ্ঠীগুলোকে ‘নিষ্ক্রিয়’ করার আদেশ দিয়েছেন। তবে বিপুল সামরিক সদস্য মোতায়েন করার পরও সরকারকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হচ্ছে।  

প্রেসিডেন্ট নোবোয়ার মতে, দেশটি এখন যুদ্ধাবস্থায় রয়েছে। তিনি গ্যাংদের কাছে নতি স্বীকার না করার অঙ্গীকার করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়