দুর্ভিক্ষের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি গাজায়
গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিচ্ছে। অবরুদ্ধ উপত্যকায় খাদ্য সহায়তার উপর ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা এবং অব্যাহত লড়াই ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।’ মঙ্গলবার জাতিসংঘ সমর্থিত ক্ষুধা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, জীবন বাঁচাতে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) এর সতর্কতায় বলা হয়েছে, “ক্রমবর্ধমান প্রমাণ দেখায় যে ব্যাপক অনাহার, অপুষ্টি এবং রোগ ক্ষুধাজনিত মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি করছে। দুর্ভিক্ষের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি বর্তমানে গাজা উপত্যকায় দেখা দিচ্ছে “
এই প্রথমবারের মতো আইপিসি জানিয়েছে, গাজায় দুর্ভিক্ষ চলছে। অবশ্য এর আগে সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল, অঞ্চলটি দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে। প্রায় দুই বছরের যুদ্ধের সময়, ইসরায়েল বারবার গাজায় পৌঁছানো ত্রাণ ট্রাক সীমিত করেছে, কখনো কখনো ত্রাণ সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছে।
গাজায় এমন সময় দুর্ভিক্ষের সতর্কতা জারি করা হয়েছে যখন গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
আইপিসি- এর বার্তায় দুর্ভিক্ষকে আনুষ্ঠানিকভাবে এমন একটি পরিস্থিতি হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে যেখানে কমপক্ষে ২০ শতাংশ মানুষ চরম খাদ্য ঘাটতির সম্মুখীন হয়, তিনজনের মধ্যে একজন শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভোগে এবং প্রতি ১০ হাজার জনের মধ্যে দুজন প্রতিদিন অনাহারজনিত কারণে মারা যায়।
আইপিসির সতর্কতায় বলা হয়েছে, গাজার বেশিরভাগ এলাকায় “প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন ব্যক্তি দিনের পর দিন খাবার ছাড়াই কাটাচ্ছেন।”
জুলাইয়ের প্রথমার্ধে শিশু অপুষ্টির হার দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গাজা শহরে দুর্ভিক্ষের সীমায় পৌঁছেছে। হাসপাতালগুলি পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষুধাজনিত মৃত্যু দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৭ জুলাই থেকে কমপক্ষে ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে ২০ হাজারেরও বেশি শিশুকে তীব্র অপুষ্টির চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছিল। এদের মধ্যে তিন হাজার শিশু গুরুতর অপুষ্টিতে ভুগছিল।
ঢাকা/শাহেদ