ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

গাজার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নেওয়া এক তৃতীয়াংশই শিশু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:২০, ২৭ আগস্ট ২০২৫   আপডেট: ২২:২২, ২৭ আগস্ট ২০২৫
গাজার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নেওয়া এক তৃতীয়াংশই শিশু

গত বছর গাজার মেডিসিনস স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ) পরিচালিত ফিল্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বহির্বিভাগের রোগীদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ছিল ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু। বুধবার দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।

আন্তর্জাতিক মেডিকেল এনজিওর সহায়তায় গাজার ছয়টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র থেকে এমএসএফ এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। এই সুবিধাগুলো মূলত বিধ্বস্ত অঞ্চলের দক্ষিণ এবং কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত।

২০২৪ সালে ৯০ হাজারেরও বেশি বহির্বিভাগের রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছিল। এর মধ্যে অর্ধেকেরও কম বোমা, গোলাবর্ষণ বা গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে এমএসএফ জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের অভিযানের পর শুরু হওয়া ইসরায়েলি আক্রমণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬২ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু।

তবে এই অনুপাত আরো বেশি হতে পারে। গত সপ্তাহে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছিল, ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা তথ্য থেকে জানা গেছে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত ছয়জন ফিলিস্তিনির মধ্যে পাঁচজনই বেসামরিক নাগরিক।

সোমবার, ইসরায়েল দক্ষিণ গাজার সর্বশেষ কার্যকরী সরকারি হাসপাতাল নাসের হাসপাতালে দুবার হামলা চালিয়েছে। এর ফলে ২০ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে পাঁচজন সাংবাদিকও রয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে,  প্রথম বোমা হামলার ১৫ মিনিট পরে মিডিয়া এবং উদ্ধারকারী দল পৌঁছানোর ঠিক পরেই দ্বিতীয় হামলাটি চালানো হয়।

ইসরায়েলি আক্রমণের সময় আহত ব্যক্তিদের পরিসংখ্যান কম মনোযোগ পেয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ১ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে।

এমএসএফ বলেছে, “বিস্ফোরক অস্ত্র খোলা যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে, তবে শহরাঞ্চলে এগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ঘন ঘন বাস্তুচ্যুতির পর যেসব অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ বাস করে, সেগুলো বিস্ফোরক অস্ত্র এবং বিশেষ করে বিস্ফোরণ, শার্পনেল এবং অগ্নিসংযোগের মতো প্রভাব থেকে কোনো সুরক্ষা পায় না।”
 

ঢাকা/শাহেদ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়