ঢাকা     সোমবার   ০৬ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

ধর্ষণে স্কুলছাত্রীর মৃত‌্যু: স্বীকারোক্তি শেষে কারাগারে দিহান

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০২, ৮ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ০২:০৫, ৯ জানুয়ারি ২০২১
ধর্ষণে স্কুলছাত্রীর মৃত‌্যু: স্বীকারোক্তি শেষে কারাগারে দিহান

রাজধানীতে ধর্ষণের কারণে ইংরেজি মাধ‌্যম স্কুলের ছাত্রীর (১৭) মৃত‌্যুর মামলায় একমাত্র আসামি ইফতেখার ফারদিন দিহান (১৮) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আ ফ ম আসাদুজ্জামান আসামিকে আদালতে হাজির করেন। আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

নারী ও শিশু আদালতে কলাবাগান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা স্বপন কুমার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কলাবাগানে ইংরেজি মাধ‌্যম স্কুলের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ ওঠে। ওই শিক্ষার্থীকে মুমূর্ষু অবস্থায় আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতলে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ইফতেখার ফারদিন দিহানকে (১৮) একমাত্র আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যার মামলা করেন মেয়েটির বাবা।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। এর এক ঘণ্টা পর তার বাবাও ব্যবসায়িক কাজে বাসা থেকে বের হন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই শিক্ষার্থী তার মাকে ফোন করে কোচিং থেকে নোট আনার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। আসামি দিহান দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে ওই শিক্ষার্থীর মাকে ফোন করেন। দিহান জানান, ওই মেয়ে তার বাসায় গিয়েছিলেন। হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে।

অফিস থেকে বের হয়ে আনুমানিক দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা হাসপাতালে পৌঁছান। হাসপাতালের কর্মচারীদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসামি নিজ বাসায় ডেকে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে অচেতন হয়ে পড়লে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আসামি নিজেই তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে কলাবাগান থানা পুলিশের একটি দল হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়