মৌমিতাকে হত্যা করা হয়েছে, দাবি পরিবারের
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
রাজধানীর কলাবাগানে ছাদ থেকে ফেলে মালয়েশিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রী তাজমিয়া মোস্তফা মৌমিতাকে হত্যার অভিযোগ করেছেন তার স্বজনেরা।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এক যুবককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হলেও নাম পরিচয় জানা যায়নি। এর আগে শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে মৌমিতার লাশ গ্রীন লাইফ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে কথা হয় কলাবাগান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পরিতোষ চন্দ্রের সঙ্গে। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ওই বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। আশপাশের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছি। যেগুলো নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত তাকে ছাদ থেকে ফেলে বা হত্যা করা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পুলিশ বলছে, পরিবারের অভিযোগের পর এক যুবককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় তার নাম পরিচয় জানানো যাচ্ছে না। তার বাবা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বলে জানা গেছে।
মৌমিতাকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে তার ফুপা হুমায়ুন কবির রাইজিংবিডিকে বলেন, আমরা সপরিবারে মালয়েশিয়ায় থাকি। সেখানেই পড়াশোনা করত মৌমিতা। দুই মাস আগে আমরা বাংলাদেশে আসি। ধানমন্ডির ৮ নম্বর রোডের একটি বাসা ভাড়া নেই। আশা ছিল দ্রুতই মালয়েশিয়াতে ফিরে যাব। তবে এই সময়ের মধ্যে ভবনের মালিকের ছেলে ফাইয়াজ মৌমিতাকে উত্ত্যক্ত করতো। এ নিয়ে তার পরিবারের কাছে অভিযোগও করা হয়েছে। তাকে বোঝানো হয়েছে। আর মৌমিতা ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করবে সেরকম কোনো কারণ নেই।
এর আগে শুক্রবার রাতে ধানমন্ডির ৮ নম্বর রোডের ২ নম্বর বাসার ছাদ থেকে নিচে পড়ে যায় মৌমিতা। রক্তাক্ত ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরে তাকে ধানমন্ডির গ্রীন লাইফ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে কলাবাগান থানার এসআই জিয়াউর রহমান তার লাশ উদ্ধার করে। নিহতের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে।
এদিকে, মৌমিতার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসে পুলিশ। শনিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডাক্তার সোহেল মাহমুদ গণমাধ্যমকে জানান, ধর্ষণ ও হত্যা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। যেটি কিভাবে হয়েছে তা তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই বলা যাবে।
মাকসুদ/সাইফ
আরো পড়ুন