ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ফরিদপুরের সেই দুই ভাইয়ের মামলায় চার্জশিট গ্রহণ ১৫ এপ্রিল

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪১, ১ এপ্রিল ২০২১  
ফরিদপুরের সেই দুই ভাইয়ের মামলায় চার্জশিট গ্রহণ ১৫ এপ্রিল

সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেল

২ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দেওয়া চার্জশিট গ্রহণের তারিখ আগামী ১৫ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) এ মামলায় চার্জশিট গ্রহণের তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক রবিউল আলম নতুন তারিখ ধার্য করেন।

এদিকে, আজ চার্জশিটে অব্যাহতির সুপারিশ পাওয়া তিন আসামি নিশান মাহমুদ শামীম, মো. বিল্লাল এবং জাফর ইকবালকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এসব তথ্য জানিয়েছেন।

গত ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন—ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।

উল্লেখ্য, ২ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে গত বছরের ২৬ জুন বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ফরিদপুরে এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল। এছাড়া, মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ গড়েছেন তারা। ২৩টি বাস, ট্রাকসহ বিলাসবহুল গাড়ির মালিক হয়েছেন ওই দুই ভাই। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন তারা। রাজবাড়ীতে ১৯৯৪ সালের ২০ নভেম্বর এক আইনজীবী খুন হন। সেই হত্যা মামলার আসামি ছিলেন বরকত ও রুবেল।

এজাহারে আরও বলা হয়, গত ১৮ জুন মিরাজ আল মাহমুদ তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হন। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, বরকত ও রুবেল অন্তত ২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়