ঢাকা     মঙ্গলবার   ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ||  মাঘ ২৮ ১৪৩১

কয়েক সেকেন্ডে চোরাই মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করত তারা 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৩, ২ এপ্রিল ২০২৪  
কয়েক সেকেন্ডে চোরাই মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করত তারা 

মোবাইল ফোন চোরাকারবারি চক্রের ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব

রাজধানী ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোবাইল ফোন চোরাকারবারি চক্রের মূলহোতাসহ ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ সময় তাদের কাছ থেকে আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) নম্বর পরিবর্তন করার ডিভাইসসহ প্রায় ৯০০টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দেশি-বিদেশি স্মার্টফোন জব্দ করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারের সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, সোমবার (১ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর গুলিস্তান, শনিরআখড়া, মোহাম্মদপুর, খিলগাঁও এবং নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় মোবাইল চোরাকারবারি চক্রের মূলহোতা হাফিজুর রহমান, রনি আহমেদ ইমন, মো. জসিম উদ্দিন, মো. জামাল উদ্দিন, আবুল মাতুব্বর, আহম্মদ আলী, মো. কামাল, মো. বাপ্পি, মো. আবিদ হোসেন সনু, মো. রবিন ভূইয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও এলাকার চোরাকারবারি চক্রের মূলহোতা মো. আরিফুল হোসেন, ইব্রাহিম মিয়া, মো. সুজন, মো. দেলোয়ার, মো. আব্দুর রহমান, মো. রাজু, মো. জিহাদ হোসেন, মো. মুনাইম, মো. রাজু ও রফিককে গ্রেপ্তার করা হয়। 

তিনি বলেন, ওই ব্যক্তিরা চারটি চক্রে বিভক্ত হয়ে ৫-৬ বছর ধরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মোবাইল চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত আছে। তারা মোবাইল চুরি, ছিনতাই ও আইএমইআই পরিবর্তন করত। চক্রটি চোরাইকৃত মোবাইল ফোনগুলো বিক্রির জন্য বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কাজ করে থাকে। আব্দুর রহমান, রবিন ভূইয়া ও হাফিজুর রহমান মোবাইল ছিনতাই করে চক্রের মূলহোতা রাজু, সুজন ও আবুল মাতুব্বরসহ অন্যদের কাছে অল্প মূল্যে বিক্রি করে দেয়। এছাড়া, তারা অন্যান্য ছিনতাইকারীর কাছ থেকেও মোবাইল ফোন অল্প দামে কিনে থাকে। দেলোয়ার এবং আবুল মাতুব্বর মোবাইলের আইএমইআই পরিবর্তনের অন্যতম কারিগর। তারা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনগুলোর আইএমইআই পরিবর্তন করে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করে। দেলোয়ারের নেতৃত্বাধীন চক্রটি গুলিস্তান এলাকায় সক্রিয়। এ চক্রের কাছ থেকে ২৯১টি স্মার্ট ফোন এবং ১৭৯টি বাটন ফোন জব্দ করা হয়। আরিফুলের নেতৃত্বাধীন গ্রুপটি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকায় সক্রিয়। তাদের কাছ থেকে ১০৬টি স্মার্ট ফোন এবং ৫৯টি বাটন ফোন জব্দ করা হয়েছে। আবুল মাতুব্বরের নেতৃত্বাধীন গ্রুপ মোহাম্মদপুর এলাকায় সক্রিয়। এ গ্রুপের সদস্যদের কাছ থেকে ৯১টি স্মার্ট ফোন এবং ২৪টি বাটন ফোন উদ্ধার করা হয়। ইমনের নেতৃত্বাধীন চক্র খিলগাঁও এলাকায় সক্রিয়। এ চক্রের কাছ থেকে ৫৪টি স্মার্ট ফোন এবং ৭৯টি বাটন ফোন জব্দ করা হয়।

মাকসুদ/রফিক 


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়