ডেভিল হান্ট-২: ২৪ ঘন্টায় গ্রেপ্তার ৬৬৩, উদ্ধার ৯ আগ্নেয়াস্ত্র
সারা দেশে দ্বিতীয় ধাপের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান ‘ডেভিল হান্ট ফেস-২’ পরিচালনার অংশ হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, একই সময়ে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ৯টি।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স থেকে জানানো হয়, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, নাশকতার চেষ্টা, অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগ এবং আগের বিভিন্ন মামলায় পরোয়ানা রয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা রয়েছেন।
এই অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের নানা এলাকা থেকে ককটেল, গুলি এবং দেশীয় ধারাল অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি ১২ ডিসেম্বর গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ১৪ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানদের একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠক শেষে দ্বিতীয় ধাপের ডেভিল হান্ট অভিযানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে।
অবশ্য ১৩ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোর কমিটির সভায় ডেভিল হান্টের দ্বিতীয় পর্যায় শুরুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। ওই সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছিলেন, লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। এটিকে আরো জোরদার ও বেগবান করার জন্য এবং ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীদের দমনের উদ্দেশ্যে কোর কমিটি ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ অবিলম্বে চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
১৩ ডিসেম্বর রাত থেকেই গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। প্রথম দুই দিনেই গ্রেপ্তার হয় ১ হাজার ৪৩ জন।
নির্বাচনের তফসিল হওয়ার পর থেকে ভোটের ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত দেশের সার্বিক প্রশাসনিক কাঠামো ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিচালিত হয়।
গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার প্রতিক্রিয়ায় চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রথম ধাপের ডেভিল হান্ট শুরু হয়েছিল। সন্ত্রাস দমন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং মূলত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, দমন করার লক্ষ্যে বিশেষ এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবি।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন নষ্ট করতে না পারে, সেই জন্য এ অপারেশন পরিচালনা করা হচ্ছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা দেয়।