ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বিয়ের আগে মানসিক প্রস্তুতি জরুরি

মনিরুল হক ফিরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৪, ৯ জানুয়ারি ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিয়ের আগে মানসিক প্রস্তুতি জরুরি

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমরা চড়ছি আধুনিকতার ঘোড়ায়। চলতে-ফিরতে পোশাকে-আশাকে, ভাবনায় আমাদের আধুনিকতার পরশ। সেই পরশে আজ আমরা বুঝি বিয়েতে অন্যান্য প্রস্তুতির মতো মানসিক প্রস্ততিও এখন ভাবনার বিষয়।

কিন্তু প্রায়ই দেখা যায় যে, বিয়ের মতো বিষয়ে ছেলেমেয়ের আগাম কোনো মানসিক প্রস্তুতি থাকে না।

পারিবারিকভাবে আয়োজিত বিয়ে, যেখানে হয়তো ছেলেমেয়ে পরস্পরকে জানার সুযোগ হয় না। আবার প্রেমের বিয়ে পরবর্তী সময় সেটি হয়তো পরিবারের সম্মতিতেই হয়। এ ধরনের বিয়েতে অভিভাবকেরা মনে করেন, যেহেতু তারা পূর্বপরিচিত, তাই নতুন করে প্রস্তুতির দরকার কী। এ ধারণা ঠিক নয়।

যতই চেনাজানা হোক না কেন, বিয়ের পর বাস্তব জীবনের মুখোমুখি হতে হয়। তখন স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় কারো। তাই বিয়ের আগে থেকে রোমান্টিকতার পাশাপাশি বাস্তবিক চিন্তাগুলো করতে হবে। জীবনের বাস্তবতা হয়তো মেয়ে বা ছেলে আগে থেকেই বুঝবে না। তাই মা-বাবা কিংবা কাছের অভিজ্ঞ কেউ তাকে ইতিবাচকভাবে জীবনের বাস্তবতা বুঝিয়ে বলতে পারে।

ছেলেমেয়ে দুজনকেই পরস্পরের পরিবারের সঙ্গে মানিয়ে চলার মানসিকতা থাকতে হবে। তা হলে দাম্পত্য জীবনে অনেক সমস্যা এড়িয়ে চলা যাবে। নিজের পরিবার ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববান হতে হবে। নিজের স্বভাবের কোনো নেতিবাচক দিক থাকলে সেগুলো সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে। পারিপার্শ্বিকতার ভিন্নতা থাকে। প্রতিটি পরিবারের আলাদা নিয়মকানুন, আচার-ব্যবহার থাকে। সেসব আগে থেকে একটু জানলে পরবর্তী সময় নতুন সদস্যের বুঝতে সহজ হয়। এসব ক্ষেত্রে শুধু মেয়েরাই মানিয়ে চলবে, তা নয়। ছেলেটিকেই বরং সহযোগিতাপরায়ণ হতে হবে।

মেয়েটি সব ছেড়ে তাদের পরিবারে আসছে। ছেলেটির পরিবারকে এ বিষয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। ছেলেকে বোঝাতে হবে সামান্য বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া না করতে। যেকোনো সমস্যা হলে তারা যেন খোলাখুলি আলোচনা করে নেয়। শাশুড়ি নিয়ে অনেক মেয়ের মনে শঙ্কা থাকে। বিয়ের আগে সুযোগ থাকলে মেয়ের সঙ্গে ছেলের পরিবার কথা বলে নিতে পারেন। তবে শুরুতেই মেয়েকে নেতিবাচক কোনো বিষয় বলা উচিত নয়।

বিভিন্ন মনোবিজ্ঞানীর পর্যালোচনায় উঠে আসে বিয়েতে একজন ছেলের নিবাসের তেমন পরিবর্তন হয়না। কিন্তু একজন মেয়েকে আমুল উপড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। যে বাড়িটিতে বাবা-মা, ভাইবোনোর সঙ্গে শৈশব-কৈশোরের স্বর্ণালী সময়টুকু কাটানো হয় সেই শিকড় থেকে তো তাকে উপড়েই নিয়ে যেতে হয়। একটি গাছকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে রোপণ করতে হলে যেমনটা যত্নের প্রয়োজন হয় তেমনি একজন পাত্রীর ক্ষেত্রেও তাই। দুরুদুরু বুকে কনেকে যেতে হয় শ্বশুরবাড়িতে। নতুন পরিবেশে। তাই নতুন পরিবেশে এই নতুন অতিথিকে বরণ করতে হবে কন্যারুপে। ভগ্নিরুপে। তবে-ই না ভয় হবে জয়। এক্ষেত্রে স্বামীর ভূমিকা এবং ছেলেপক্ষের ভূমিকা-আন্তরিকতা জরুরি।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ জানুয়ারি ২০১৬/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়