ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

পায়ে যদি পানি আসে

এস এম গল্প ইকবাল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১৯, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০   আপডেট: ২১:২৫, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১
পায়ে যদি পানি আসে

অনেকেরই দুই পা ফুলে যায় বা পায়ে পানি আসে। এ প্রতিবেদনে পায়ের ফোলা কমানোর কিছু কার্যকরী ঘরোয়া উপায় দেওয়া হলো। কিন্তু কোনো স্পষ্ট কারণ ছাড়াই পা ঘনঘন ফুলে গেলে অথবা ফোলা না কমলে প্রকৃত কারণ শনাক্ত করতে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পায়ে পানি আসা মারাত্মক রোগের লক্ষণ হতে পারে। শরীরের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় অঙ্গের যেমন হৃদযন্ত্র, লিভার, কিডনি, খাদ্যনালীর কাজের ব্যাঘাত ঘটলে পায়ে ও শরীরে পানি আসতে পারে।

* ফুট বাথ: পায়ে পানি জমলে ফুট বাথ বা হাইড্রোথেরাপি দিন। ফোলা পা একবার গরম পানিতে, আরেকবার ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। গরম পানি রক্তনালী প্রসারিত করে, অন্যদিকে ঠান্ডা পানি রক্তনালী সংকুচিত করে। এতে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। গরম পানিতে ৩-৫ মিনিট ও ঠান্ডা পানিতে ৩০-৬০ সেকেন্ড পা ডুবিয়ে রাখুন। ১৫-২০ মিনিট ধরে প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করুন। দিনে কয়েকবার করুন। খেয়াল রাখুন গরম পানি যেন সহনশীল হয়।

* এপসম সল্ট: পানিতে এপসম সল্ট মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখলে কার্যকর ফল পেতে পারেন। এপসম সল্টের ম্যাগনেসিয়াম সালফেট রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে পারে ও ফোলা কমাতে পারে। তবে এ বিষয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা এখনো সীমিত। কুসুম গরম বা ঠান্ডা পানিতে আধ কাপ এপসম সল্ট মিশিয়ে ১০-২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন।

* এক্সারসাইজ: এই পরামর্শ অযৌক্তিক মনে হতে পারে। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো, পায়ের মাংসপেশি ব্যবহার করলে তরল সরে গিয়ে ফোলা কমে যায়। নিয়মিত এক্সারসাইজ করলে পায়ের ফোলা প্রতিরোধ হতে পারে। একটানা অনেকক্ষণ বসে থাকাও ঠিক নয়। দীর্ঘসময় বসে না থেকে নির্দিষ্ট সময়ান্তরে হাঁটুন। এতেও পায়ের ফোলা প্রতিরোধ হতে পারে। এক্সারসাইজ করতে কষ্ট হলে বা ব্যথা লাগলে সাঁতার কাটার মতো নন-ওয়েট-বিয়ারিং এক্সারসাইজ করতে পারেন।

* এলিভেশন: পা হার্ট লেভেলের ওপরে রাখুন। অর্থাৎ চিৎ হয়ে শুয়ে পা কয়েক মিনিট দেয়ালের সাপোর্টে উপরে তুলে ধরুন। প্রক্রিয়াটি প্রতিদিন কয়েকবার রিপিট করুন। এছাড়া ঘুমানোর সময় পা বালিশের উপর রাখতে পারেন। বসা/শোয়া অবস্থায় পা হার্ট লেভেলের উপরে রাখলে ফোলা কমে যেতে পারে।

* ম্যাগনেসিয়াম: শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের অভাব হলে পায়ে পানি জমতে পারে ও ফুলে যেতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৪০০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্ট সেবন করতে পারেন, যদি কিডনি বা হার্টে সমস্যা না থাকে। ডায়েটে ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার সংযোজন করেও মিনারেলের ঘাটতি মেটাতে পারেন। যেমন গাঢ় সবুজ শাকসবজি, বাদাম ও ডার্ক চকলেট।

* লবণ সীমিতকরণ: খাবারে লবণের ব্যবহার কমালে পায়ে পানি জমার প্রবণতা ও ফোলা কমবে। উচ্চ লবণাক্ত খাবারের কিছু উৎস হলো চিপস, ফাস্ট ফুড ও প্যাকেটজাত খাবার। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন রক্তচাপ কমাতে দৈনিক ২,৩০০ মিলিগ্রামের বেশি লবণ খেতে অনুৎসাহিত করেছে। আরো ভালো হয়, যদি ১,৫০০ মিলিগ্রামে সীমাবদ্ধ থাকতে পারেন।

* পানি পান: এই পরামর্শ যুক্তিহীন মনে হতে পারে যে, এ অবস্থায় বেশি করে পানি পান করতে বলছি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, প্রতিদিন আট গ্লাস বা আরো বেশি পানি পান করলে পায়ের ফোলা কমতে পারে ও প্রতিরোধ হতে পারে।

ঢাকা/ফিরোজ/তারা

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়