ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সুইফট ব্যবহার করে চুরি হয়েছিল ইকুয়েডরের ব্যাংকেও

শাহেদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ২০ মে ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সুইফট ব্যবহার করে চুরি হয়েছিল ইকুয়েডরের ব্যাংকেও

ডেস্ক রিপোর্ট : সুইফট ম্যাসেজিং সিস্টেম ব্যবহার করে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরির এক বছর আগে হ্যাকাররা ইকুয়েডরের একটি ব্যাংকের ১২ মিলিয়ন ডলার চুরি করেছিল। তবে ওই সময় বিষয়টি সুইফট কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থাকে জানায়নি বাংকো ডি অস্ট্রো নামের ওই ব্যাংকটি।

 

অর্থ চুরির ঘটনায় আদালতে মামলা করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

 

গত ফেব্রুয়ারিতে সুইফট ম্যাসেজিং সিস্টেমের মাধ্যমে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে নিউইয়র্কে ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি করে হ্যাকারা। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত দল এ ঘটনায় সুইফটকে দায়ী করেছে। গত বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামের কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে দেশটির একটি ব্যাংকেও সুইফট ম্যাসেজিং সিস্টেম ব্যবহার করে হ্যাকাররা হামলা চালিয়েছিল। তবে বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আগে থেকে টের পাওয়ায় তারা অর্থ স্থানান্তরের বিষয়টি আটকে দিতে সক্ষম হয়।

 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সুইফট ম্যাসেজিং সিস্টেম ব্যবহার করে বাংকো ডি অস্ট্রো’র ১২ মিলিয়ন ডলার চুরি করে হ্যাকাররা। এই অর্থ হংকংয়ের কয়েকটি ব্যাংকে স্থানান্তর করে সেখান থেকে তুলে নিতে সক্ষম হয় হ্যাকরারা। এ ঘটনায় আমেরিকার মাল্টিন্যাশনাল ব্যাংক ওয়েলস ফার্গো অ্যান্ড কোম্পানির বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে নিউইয়র্কের ফেডারেল আদালতে মামলা দায়ের করে বাংকো ডি অস্ট্রো কর্তৃপক্ষ। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ওয়েলস ফার্গো অ্যান্ড কোম্পানিকে একাধিকবার ‘রেড ফ্লাগ’ নোটিস পেলেও তারা তা এড়িয়ে গেছে। একই সঙ্গে তারা হ্যাকারাদের অর্থ স্থানান্তরও আটকাতে ব্যর্থ হয়েছে।

 

মামলায় বাংকো ডি অস্ট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা চুরি যাওয়া অর্থের মধ্যে ২ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। অবশিষ্ট অর্থ উদ্ধারে তারা হংকংয়ে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।

 

এদিকে সুইফট জানিয়েছে, তাদেরকে এ ব্যাপারে বাংকো ডি অস্ট্রো কর্তৃপক্ষ কখনো কিছু জানায়নি।

 

সংস্থাটির মুখপাত্র নাতাশা ডি তেরান বলেন, ‘এ ধরণের চুরির বিষয়টি যদি আমাদের পণ্য ও সেবা সংশ্লিষ্ট হয়, তাহলে বিষয়টি আমাদেরকে জানালে আমরা তা অন্যান্য সংস্থাগুলোকে অবহিত করতে ও তাদের সহযোগিতা চাইতে পারি। আমরা বিস্তারিত তথ্য জানতে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছি। একইসঙ্গে এ ধরণের তথ্য আমাদেরকে জানানো গ্রাহকদের যে দায়িত্ব তা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি।’


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ মে ২০১৬/শাহেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়