‘ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে স্বাধীনতা এসেছে’
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে।
শুক্রবার বেনাপোল সীমান্তের নোম্যানস ল্যান্ডে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উপলক্ষে ভারত-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের জনগণ ও সরকার এ দেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল। এজন্য আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। বাঙালির অর্জনকে দুই বাংলা একসঙ্গে পালন করছি, এটা খুবই গর্বের বিষয়। দুই দেশের সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও মৈত্রীতে এটা অনুপ্রেরণা যোগাবে।
পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, বাংলাদেশের বাঙালিরা ভাষা ও স্বাধীনতার জন্য অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। ভাষা আর স্বাধীনতার জন্য এত ত্যাগের নজির পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই। এজন্য বাংলাদেশিরা গর্বিত জাতি।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দুই বাংলার হাজার হাজার ভাষাপ্রেমী মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে যশোরের বেনাপোলের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা। ভাষার টানে ভৌগোলিক সীমারেখা ভুলে বেনাপোল-পেট্রাপোল চেকপোস্টের নোম্যানস ল্যান্ডে মিলিত হয় দুই বাংলার হাজারো মানুষ। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি...’ গানটি ছিল সবার মুখে।
দুই বাংলার সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রাজনীতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ীসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্তে অস্থায়ী শহীদ মিনারের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। আলাদা মঞ্চে দুই দেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর-১ (শার্শা) আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ, পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন, বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আব্দুল জলিল, যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক মো. সেলিম রেজাসহ উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং স্থানীয় রাজনীতিকরা।
ঢাকা/আসাদ/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন
