ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

যে কারণে লাগেজ ভ্যানে ঝুঁকছে রেলওয়ে

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৭, ৫ মে ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
যে কারণে লাগেজ ভ্যানে ঝুঁকছে রেলওয়ে

উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও রেলপথে ‘লাগেজ ভ্যান’-এর গুরুত্ব বাড়ছে। পণ্য পরিবহনের জন্য এসব ‘ভ্যান’ বিশেষভাবে তৈরি হওয়ায় কোনো কাচা মালই সহজে নষ্ট হয় না।  এছাড়া, সাধারণ মালবাহী বগির চেয়ে লাগেজ ভ্যানে পণ্য বেশি পরিবহন করা যায়। তুলনামূলক খরচও হয় কম। এসব কারণে কৃষিপণ্য পরিবহনে লাগেজ ভ্যানের দিকে ঝুঁকছে রেল বিভাগ। 

লাগেজ ভ্যানের প্রতি দিনে-দিনে কৃষিপণ্য সরবরাহকারী ও ব্যবসায়ীদেরও আগ্রহ বাড়ছে। তারা বলছেন, লাগেজ ভ্যানে কম খরচে কৃষিপণ্য, যাত্রীদের ভারী মালপত্র ও ব্যবসায়িক পণ্য পরিবহন করা যায়।  তাই সাধারণ বগির চেয়ে লাগেজ ভ্যানে পণ্য বুকিংয়ের দিকেই তারা ঝুঁকছেন।

জানতে চাইলে পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আবদুল হালিম বলেন, ‘আমি মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী আর পাবনার পেঁয়াজ কিনে ব্যবসা করি। এসব দেশি পেঁয়াজের দাম একটু বেশি। তবে, উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন শস্য নিয়েও ব্যবসা করার পরিকল্পনা করেছিলাম।’

আবদুল হালিম আরও বলেন, ‘ওসব জেলা থেকে কার্গোতে পরিবহন খরচ বেশি হয়। ট্রেনের মাধ্যমে এই সার্ভিস পেলে খরচ কম হবে বলেই মনে হচ্ছে।’

গত শনিবার (২ মে) পঞ্চগড়ে এক অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘রেলে ৫০টি লাগেজ ভ্যান সংযোজন করা হবে।’   

তবে, এই প্রসঙ্গে মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, ১২৫ টি লাগেজ ভ্যান কেনা হবে। এজন্য হাতে নেওয়া হয়েছে ‘রোলিং স্টক অপারেশনস ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট অব বাংলাদেশ রেলওয়ে (রোলিং স্টক প্রকিউরমেন্ট)’ শীর্ষক একটি প্রকল্প। তবে, ১২৫টি লাগেজ ভ্যান না কিনে ধাপে ধাপে ভ্যান কেনা হতে পারে।

এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) মো. মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে বর্তমানে প্রকল্প অফিস বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই এই কাজে গতি পাবে।’

উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে যেসব লাগেজ ভ্যান রয়েছে এগুলো ৪৮ বছরের পুরনো। মেকানিক্যাল কোড অনুযায়ী, একটি ওয়াগনের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল ৪৫ বছর। এই হিসেবে কাভার্ড ওয়াগনগুলোর আয়ু শেষ হয়ে গেছে।


ঢাকা/হাসান/এনই

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়