ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘ভাড়া দ্বিগুণ করে দিলেই হয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৪, ২৯ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
‘ভাড়া দ্বিগুণ করে দিলেই হয়’

সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব এনায়েত উল্লাহ বলেছেন, ‘যাত্রী যেহেতু অর্ধেক নেওয়া হবে সেক্ষেত্রে ভাড়া দ্বিগুণ করে দিলেই হয়। এটা নিয়ে কাল আবার আলাদা বৈঠকের দরকার আছে কি?।’

শুক্রবার (২৯ মে) বিকেলে রাজধানীর বনানীতে পরিবহন মালিক ও পরিবহন সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।  বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

৩১ মে (রোববার) থেকে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালু করা হলেও ভাড়া কত হবে তার চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।  এজন‌্য শনিবার (৩০ মে) সকালে বিআরটিএ ও বাস মালিক সমিতির বৈঠকে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।

এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভাড়া নির্ধারণের জন্য বিআরটিএ’র একটি কমিটি রয়েছে। সে কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে যুক্তিসঙ্গত ভাড়া চূড়ান্ত করতে হবে।’

বৈঠকে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব বলেন, ‘যদি ৫০ শতাংশ যাত্রী বহন করা হয় তাহলে ভাড়া দ্বিগুণ করে দিলেই হয়। এটা নিয়ে কালকে আবার আলাদা বৈঠকের দরকার আছে কি?’

স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে আমাদের সবাইকেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।  আমি আমার গাড়ির স্টাফদের বলেছি মাস্ক, হ‌্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিনতে।  তারা সেটা ব্যবহার করবে।’

বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিআরটিএর পক্ষ থেকে পরিবহন মালিকদের প্রস্তাব করা হয়েছিলো যাত্রীদের মাস্ক দিতে, সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস মালিকপক্ষ দেবে তাদের স্টাফদের। যাত্রীদের দায়িত্ব কেন আমরা নেবো। যাত্রীদের সুরক্ষা যাত্রীদেরকেই করতে হবে। আমরা শুধু আমাদের পরিবহন যেন জীবাণুমুক্ত থাকে সেটা নিশ্চিত করবো। ’

পরিবহন শ্রমিকদের সাহায্য দেওয়া প্রসঙ্গে এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘ঢাকাসহ দেশের প্রায় ৭০ থেকে ৮০টি কোম্পানিকে দিয়ে আমরা ত্রাণ দিয়েছি শ্রমিকদের।  আমি নিজেও আমার স্টাফদের মধ‌্যে ত্রাণ দিয়েছি।  টাকা দিয়েও সাহায্য করেছি।’

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামের উদ্দেশ্যে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব বলেন, ‘আমার আবেদন থাকবে এই করোনাকালে যেন হাইওয়ে পুলিশ কাগজপত্রের জন্য বাস কম ধরে। তারা যেন যাত্রাপথে বাস এই মুহূর্তে কম চেক করেন। ’

তার এই প্রস্তাবে সচিব বলেন, ‘হাইওয়ে পুলিশ বাস একেবারে ধরবে না সেটা হতে পারে না। কাগজপত্র না থাকলে গাড়ির ফিটনেস না থাকলে বাস ধরবেই। তবে হ্যাঁ, আমরা এই মুহূর্তে কিছুটা নমনীয়ভাবে ধরতে বলে দেবো। ’

দেশের বেশির ভাগ কোম্পানিতে একাধিক মালিকের বাস থাকায় ৩০ শতাংশ বাস সীমিত আকারে ছাড়ার বিষয়টি কার্যকর করা যাবে না বলে মত দিয়েছেন পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা। এ সময় সচিব বলেন, ‘এই প্রস্তাব আমরা দিচ্ছি, তবে সিদ্ধান্ত কাল সকালেই হবে। কারণ যেহেতু একটি কমিটি আছে আমরা তাদের মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত জানাবো।’

এ নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত একজন বলেন, ‘কোনো মালিকের কিছু বাস ছাড়বে, আর কিছু মালিক বাস ছাড়বে না, এটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। পরে সব মালিকরাই এই প্রস্তাবে সমর্থন দেন।’

সচিব বলেন, ‘গাড়ি ছাড়ার বিষয়ে ৩০ শতাংশের বিষয়টি কাজ করবে না, এটা কঠিন হবে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবহন চালক ও চালকের সহকারী ও যাত্রীদের মাস্ক নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।  সেক্ষেত্রে  মালিকরা পরিবহন শ্রমিকদের মাস্ক বিতরণ করলেও যাত্রীদের মাস্ক নিজেদেরই নিশ্চিত করতে হবে বলেও বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। ’

** ‘দুই সিটের মধ্যে এক সিট বাদ দিতেই হবে’


ঢাকা/ হাসিবুল/জেডআর

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়