ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্য বাংলাদেশ : ইউনান গভর্নর

কে. শাহীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৯, ৩০ মার্চ ২০১৪   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্য বাংলাদেশ : ইউনান গভর্নর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নর লী ঝিহেং গি সাক্ষাৎ করেন।

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
ঢাকা, ৩০ মার্চ : ঢাকায় সফররত চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নর লি ঝিহেং গি বলেছেন, বাংলাদেশে চমৎকার বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে। বাংলাদেশ আগামী দিনে বৈশ্বিক বিনিয়োগের সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হবে। এক্ষেত্রে নিয়ামক ভূমিকা পালন করবে চীনের ইউনান প্রদেশ।

বার্তা সংস্থা বাসস খবর দিয়েছে, লী ঝিহেং গি রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এসময় লী ঝিহেং গি বাংলাদেশ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি মাহবুবুল হক শাকিল সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
গভর্নর লী ঝিহেং গি বলেন, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং ইউনান প্রদেশ বাংলাদেশের নিকট প্রতিবেশী।

তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ২০১০ সালের কুনমিং সফরের কথা স্মরণ করে বলেন, কুনমিং হচ্ছে বাংলাদেশের নিকটতম সহযোগী। চীন সবসময় বাংলাদেশের জনগণের সাথে ছিল এবং থাকবে উল্লেখ করে গভর্নর গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে বিজয় অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।

ইউনান গভর্নর বলেন, চীন অতীতের ন্যয় ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকবে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও ৬ ভাগেরও বেশি প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্ব ও জনগণের প্রতি অঙ্গিকারের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

লী ঝিহেং গি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কুনমিং পর্যন্ত সরাসরি যোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রাম-কুনমিং ইতিমধ্যে ‘সিস্টার সিটিতে’ পরিণত হয়েছে।

আগামী জুনের প্রথম সপ্তাহে ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিংয়ে অনুষ্ঠেয় চীন-দক্ষিণ এশিয়া প্রদর্শীতে যোগদানের আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি আনুষ্ঠানিক পত্র হস্তান্তর করেন ইউনান গভর্নর।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকার সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন। শেখ হাসিনা বলেন, এই প্রদর্শনী বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে এদেশে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও উন্নয়নে সহযোগিতার জন্য বেইজিংয়ের প্রশংসা করেন।

চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালে তার (প্রধানমন্ত্রী) চীন সফরের পর দু`দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

মায়ানমার হয়ে কুনমিং পর্যন্ত সড়ক ও রেল যোগাযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, এতে উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মায়ানমার (বিসিআইএম) করিডোর বাস্তবায়িত হলে চারটি দেশই লাভবান হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের যোগাযোগ, আইটি, প্রতিরক্ষা, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্ষেত্রে চীনের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি আগামীতেও চীনের এসব সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সম্প্রতি নিখোঁজ হওয়া মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে থাকা চীনের ১শ ৫৩ জন নাগরিকের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে বংলাদেশের নেওয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।

ইউনান প্রদেশের গভর্নর লী ঝিহেং নিখোঁজ বিমান অনুসন্ধানে বাংলাদেশের ভূমিকায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আব্দুস সোবহান সিকদার ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি মাহবুবুল হক শাকিল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

রাইজিংবিডি/কে. শাহীন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়