দুদেশের সকল নদীপথ উন্মুক্ত করার আহ্বান, গম আনতে জিটুজির প্রস্তাব

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সকল নদীপথ উন্মুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ভারতকে তিনি বলেছেন, আমরা চাই, এসব নদী পথ দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ুক। 

পাশাপাশি দেশটি থেকে আরও গম আনতে চায় বাংলাদেশ। সেজন্য ভারতকে নতুন করে প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। আর গম আনার এ পদ্ধতি হবে জিটুজিতে।

ভারত সফর শেষে ঢাকায় ফিরে সোমবার (২০ জুন) রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

ড. মোমেন বলেন, আমরা ১০ লাখ টন গম আনব। মাঝখানে বিধিনিষেধ এসেছিল, এখন তারা সব বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে। তবে এরইমধ্যে যারা এলসি করেছে তারাই গম আনতে পারবে। এলসি তারা পরীক্ষা করবে, কারণ গমের দাম বাড়ার ফলে অনেক ভুঁইফোড় ব্যবসায়ী গম আনার চেষ্টা করেছে। এজন্য তারা তারা এলসি পরীক্ষা করবে।
 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাছাড়া আমরা আরও গম আনতে চাইছি। সেজন্য আমরা জিটুটি করব। আমরা নতুন প্রস্তাব দিয়েছি। তারা বলেছে, এটা বিবেচনা করবে। তাদের গমের কোনও অভাব নেই।

গত এক বছরে দুদেশের মধ্যে ১৬ বিলিয়ন ডলার বিজনেস হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমাদের হিসাবে এটি ১৬ বিলিয়ন ডলার, আর তাদের হিসেবে এটি ১৮ বিলিয়ন ডলার। আমাদের হিসেবে আমরা ২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য তাদের কাছে বিক্রি করেছি, তারা আমাদের কাছে ১৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য বিক্রি করেছে। এই বাণিজ্য আরও বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি আমরা।

নয়াদিল্লিতে দুই দেশের সম্পর্কের সামগ্রিক দিক নিয়ে আলোচনা হয় জেসিসি বৈঠকে। বৈঠকে ঢাকার পক্ষে ড. মোমেন ও নয়াদিল্লির পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নেতৃত্ব দেন।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যৌথ পরামর্শক কমিশন-জেসিসি বৈঠকে যোগ দিতে গত ১৮ জুন দিল্লি সফরে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি দিল্লি থেকে ফিরেছেন।