ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বঙ্গবন্ধু ‘জয় পাকিস্তান’ বলেননি, ক্ষমা চাইলেন এ কে খন্দকার

আবু বকর ইয়ামিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২১, ১ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বঙ্গবন্ধু ‘জয় পাকিস্তান’ বলেননি, ক্ষমা চাইলেন এ কে খন্দকার

নিজস্ব প্রতিবেদক : অবশেষে দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর নিজের লেখা বইয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়ে মুক্তিযোদ্ধা এ কে খন্দকার বলেছেন, ‘১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু “জয় পাকিস্তান” বলেননি।’

২০১৪ সালে প্রথমা প্রকাশন থেকে ‘১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ প্রকাশের পর ব্যাপক সমালোচনার মধ্যেও নীরব ছিলেন এ কে খন্দকার।  সেই নীরবতা ভেঙে শনিবার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসে এ কে খন্দকার অসত্য তথ্য দেওয়ার দায় নিয়ে ক্ষমা চান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘যেভাবেই আমার বইতে আসুক না কেন, এই অসত্য তথ্যের দায়ভার আমার এবং বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে কখনই “জয় পাকিস্তান” শব্দ দুটি বলেননি। আমি তাই আমার বইয়ের ৩২ নম্বর পৃষ্ঠার উল্লিখিত বিশেষ অংশ সংবলিত পুরো অনুচ্ছেদটুকু প্রত্যাহার করে নিচ্ছি এবং একইসাথে আমি জাতির কাছে ও বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার কাছে ক্ষমা চাইছি।’

বইটি লেখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বনের কথা জানিয়ে এর ভূমিকায় তিনি লিখেছিলেন, ‘সত্য কথা লিখতে হলে নির্মোহ হতে হয় এবং আবেগের ঊর্ধ্বে উঠতে হয়। আবেগতাড়িত হলে বা কারো প্রতি আনুকূল্য দেখাতে গেলে অতি অবশ্যই আমাকে হয় অপ্রিয় সত্য এড়িয়ে যেতে হবে, নতুবা মিথ্যার আশ্রয় নিতে হবে। আমি এর কোনোটিতেই বিশ্বাসী নই। তাই কখনো কখনো রূঢ় সত্য প্রকাশে ব্যক্তিবিশেষ সম্পর্কে প্রচলিত ধারণার বাইরে আমি কিছু মন্তব্য করেছি বা প্রমাণ তুলে ধরেছি। আমি মনে করি, সত্যের স্বার্থে এটির প্রয়োজন ছিল।’

ওই বই প্রকাশের পর শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। বইটি নিষিদ্ধের দাবি ওঠে সংসদে, আদালতে হয় অভিযোগ। কোনো মহলের প্ররোচনায় এ কে খন্দকার এই বই লিখেছেন বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের নেতারা। বিএনপি নেতারা বলেন, এই বইয়ের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন বক্তব্যের অসাড়তা প্রমাণিত হয়েছে। এই ঝড়ের মধ্যে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ছাড়েন এ কে খন্দকার। ফোরামও তার বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছিল।

সাড়ে চার বছরের নীরবতা ভেঙে এ কে খন্দকার বলেন, ‘আমার বয়স ৯০ বছর। আমার সমগ্র জীবনে করা কোনো ভুলের মধ্যে এটিকেই আমি একটি বড় ভুল বলে মনে করি। গোধূলী বেলায় দাঁড়িয়ে পড়া সূর্যের মতো আমি আজ বিবেকের তাড়নায় দহন হয়ে বঙ্গবন্ধুর আত্মার কাছে ও জাতির কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ জুন ২০১৯/ইয়ামিন/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়