প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃষক ও ক্ষেতমজুর সমিতির ১০ দাবি

করোনা ভাইরাস সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি ও ক্ষেতমজুর সমিতি।

বুধবার (২২ এপ্রিল) কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা ও ক্ষেত মজুর সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান। 

বিবৃতিতে নেতারা বলেন,করোনার প্রাণঘাতী ভয়াল থাবার মুখে গোটা দেশ ও সমগ্র দুনিয়া আজ বিপর্যস্ত।  প্রতিদিন করোনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। একই সাথে অর্থনীতি আজ মহাসংকটে।  বিপর্যয় থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে।

দাবির মধ্যে রয়েছে—কৃষকের বোরো ধান কাটা, মাড়াই, নিরাপদে ঘরে তোলা, বাজারজাতকরণ ইত্যাদি সার্বিক কাজে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।  সেজন্য সম্ভাব্য সব জায়গায় সরকারি হার্ভেস্টার মেশিন পাঠাতে হবে।  সরকারি নিয়ন্ত্রণে এসব মেশিন দিয়ে কৃষকের ধান কাটার ব্যবস্থা করতে হবে।  বেসরকারি মালিকানায় থাকা মেশিনের ক্ষেত্রে একর প্রতি সর্বোচ্চ রেট নির্ধারণ করে দিতে হবে।

ক্ষেতমজুরদের ধান কাটার জন্য ফসলের এলাকায় বিনা খরচে যাতায়াতের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।  ক্ষেতমজুরদের জন্য সংক্রমণ পরীক্ষা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা, থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্তসহ ১০ লাখ টাকার স্বাস্থ্যবিমা, ঝুঁকি ভাতার সুবিধা দিতে হবে।  সেনা সহায়তায় রেশন কার্ডের মাধ্যমে ৩ মাস বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করতে হবে। 

মজুরদের সব ঋণ/কিস্তি মওকুফ করতে হবে।  একই সঙ্গে এই মজুরদেরকে সরকারি নগদ অর্থ সহায়তা দিতে হবে।  প্রতিটি ইউনিয়নে শস্য ক্রয়কেন্দ্র খুলতে হবে এবং চলতি বোরো মৌসুমে ২০ লক্ষ টন ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে এবং ১০ লক্ষ টন চাল চাতাল মালিকের মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত দামে ক্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। 

বর্তমান সংকটকালে ক্ষুদ্র ও মাঝারি সবজি চাষি, পোল্ট্রি, ডেইরি ও গবাদিপশু খামারীকে রক্ষায় জনপ্রতি দশ হাজার টাকা সরাসরি সহায়তা দিতে হবে।   সবজি জাতীয় কৃষিপণ্য সরকারি উদ্যোগে বাজারজাত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।  ত্রাণ-সাহায্য বিতরণে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ বন্ধ করতে হবে। 

গ্রামাঞ্চলে কর্মরত সকল ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, পরিবহণ ও ক্ষেতমজুরদের সুরক্ষায় মাস্ক, পিপিই ইত্যাদির ব্যবস্থা করতে হবে।  দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পর্যায়ক্রমে ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি ক্রয়কেন্দ্র, খাদ্যগুদাম ও সবজিচাষ অধ্যুষিত অঞ্চলে হিমাগার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

 

হাসনাত/সাইফ