ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রথম কিস্তির অর্থ ছাড় হচ্ছে

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪০, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ২০:৪২, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রথম কিস্তির অর্থ ছাড় হচ্ছে

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপান অর্থনৈতিক জোন নির্মাণের জন্য ৭৭৫ কোটি টাকার তহবিলের প্রথম কিস্তির অর্থ ছাড়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে  এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগকে  নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের মোট ব‌্যয় ধরা হয়েছে,  ২ হাজার ৫৮২ কোটি ১৮ লাখ টাকা। 

এই বিষয়ে অর্থ বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এই প্রকল্পের বিষয়ে  প্রধানমন্ত্রী নিজেই খোঁজ-খবর রাখছেন। অর্থ বিভাগ থেকে  দ্রুত অর্থ ছাড়ের ব্যবস্থা করা হবে।’  তবে, এই অর্থ কবে নাগাদ ছাড় হচ্ছে, সে বিষয়ে এখনই কিছু জানা যায়নি।

করোনার কারণে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় জাপানি বিনিয়োাগকারীদের জন্য বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন (বিএসইজেড) -এর নির্মাণ কাজ কিছুটা  দেরি হচ্ছে। সরকার আশা করছে,  এই প্রকল্পে ২০০ কোটি ডলার  জাপানি বিনিয়োগ আসবে।
 
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকারীরা ২৭ ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন বলে জানানো হয়ছে।   

চিহ্নিত  গুরুত্বপূর্ণ সমস‌্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে স্থল ও বিমানবন্দরের, সমুদ্রবন্দরগুলোর সীমাবদ্ধতা। সভায় সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে বন্দরগুলোর দক্ষতা বাড়াতে বলা হয়।  জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) স্থল ও সমুদ্র বন্দর থেকে সর্বোচ্চ ১৬ দিনের মধ্যে এবং বিমানবন্দর থেকে ৮ দিনের মধ্যে আমদানি ও রফতানির পণ্য ছাড়ের বিশেষ ব্যবস্থা নিতেও বলা হয় সভা থেকে। 

সূত্র জানায়, জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটি (একনেক) গত ৫ মার্চ জাপানের অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য ২০২২ সালের মধ্যে ২ হাজার ৫৮২ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প অনুমোদন করে। প্রকল্পের মোট  ব্যয়ের মধ্যে জাইকা ২ হাজার ১২২ কোটি ৮২ লাখ টাকা দেবে। বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকার দেবে।

অর্থ বিভাগ জাপানি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যারা করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তারা সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণ চাইলে তা বিবেচনা করা হবে। এনবিআরও বাংলাদেশের জাপানি ব্যবসায়ীদের জন্য কর অবকাশ ও কর ছাড়ের সুযোগ দেওয়ার বিষয়গুলো বিবেচনা করবে। এছাড়া জাপারি বিনিয়োগকারী ও কারখানার মালিকরা বাংলাদেশে প্রযোজ্য শিথিল শ্রম আইনের বিধান উপভোগ করবেন। 

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে আড়াইহাজারে  জাপানি বিনিয়োগকারীদের স্বতন্ত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণে জমি ও অন্যান্য কাজ বাস্তবায়নের জন্য জাপানি সংস্থা টিওএ করপোরেশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

 জাপানি সংস্থা টিওএ করপোরেশন ও টোকিও কনস্ট্রাকশন দেশের বৃহত্তম অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর একটি বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে বেজার ডাকা  দরপত্রে অংশ নিয়ে কাজ পেয়েছে। পরে দুটি সংস্থা বেজার সঙ্গে  চুক্তি স্বাক্ষর করে। এরপর দুই বছরের মধ্যে ১০০০ একর জমির উন্নয়ন করে। 

হাসনাত/এনই

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়