বাংলাদেশ থেকে নারী কর্মী নেবে সৌদি আরব
এএম || রাইজিংবিডি.কম
নারীরা লাইনে দাঁড়িয়ে আছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা, ১৯ ফেব্রুয়ারি : সৌদি আরবে বাংলাদেশের শ্রমবাজার খুলে যাবে শিগগির। তবে দেশটি প্রথমবারের মতো নারী গৃহকর্মী নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে। প্রাথমিক প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতি মাসে বাংলাদেশ থেকে ১০ হাজার নারী গৃহকর্মী সৌদি আরবে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। এ জন্য শ্রমিক প্রেরণের সব খরচই বহন করবে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরবে বিভিন্ন সময় নারী ও পুরুষ শ্রমিক পাঠানো হলেও গৃহকর্মী ভিসায় এ পর্যন্ত জনশক্তি পাঠানো হয়নি। তবে সম্প্রতি প্রতি মাসে অন্তত ১০ হাজার নারী গৃহকর্মী নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব।
এ প্রসঙ্গে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম জানান, সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মী পাঠানোর লক্ষ্যে দেশের ৬৪টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণরত নারী প্রশিক্ষণার্থী সম্পর্কিত তথ্য বিশ্লেষণ করছে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এসব নারী শ্রমিককে ৩১ হাজার টাকা বেতনের বিপরীতে সৌদি আরবে গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। যেসব প্রশিক্ষণার্থী দেশের বাইরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের জন্য যাবেন, তাদের ৪০-৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থসহায়তা দেবে সরকার।
বাংলাদেশ থেকে পুরুষের তুলনায় অভিবাসী নারী শ্রমিকের হার অনেক কম। তবে গত কয়েক বছর নারী শ্রমিক পাঠানোর হার তুলনামূলক বাড়ছে। ২০১২ সালে নারী শ্রমিক রপ্তানির হার বেড়ে হয় ৬ শতাংশ। এ ছাড়া ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো নারী শ্রমিক বিদেশে পাঠাতে নিবন্ধন করে সরকার।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে পৌনে তিন লাখ নারী শ্রমিক কাজ করছেন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, লেবানন, জর্ডান, কাতার, কুয়েত, মরিশাস, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে।
বিএমইটির তথ্যানুযায়ী, ১৯৯১ থেকে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৬২ জন নারী কর্মী বিদেশে গেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭৯ হাজার ৩৪৩ জন নারী শ্রমিক রপ্তানি হয়েছে লেবাননে। ২০১৩ সালে সবচেয়ে বেশি নারী কর্মী গেছেন জর্ডানে। এ সংখ্যা ২১ হাজার ২৪৩ জন। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৩ হাজার ৭১০, লেবাননে ১০ হাজার ৭৫০, ওমানে ছয় হাজার ৬৮, মরিশাসে এক হাজার ৫৫৭, সৌদি আরবে ১৬৭, বাহরাইনে ১৪১, সিঙ্গাপুরে ১৩৩, ইতালিতে ২৮, মালয়েশিয়ায় ২৩ ও সাইপ্রাসে ১২ জন নারী কর্মী গেছেন। ২০১৩ সালে নারীদের জন্য নতুন বাজার সৃষ্টি হয় কাতারে। ওই দেশে গেছেন দুই হাজার ১০০ নারী। এ ছাড়া গত বছর হংকংয়ে পাড়ি দিয়েছেন ৩২৩ জন নারী কর্মী।
রাইজিংবিডি / এএম / আবু মো.
রাইজিংবিডি.কম