ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গঠন জরুরি’

নিউজ ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৫৮, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১  
‘হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গঠন জরুরি’

‘বাংলাদেশের জনগণের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতের লক্ষ্যে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গঠন জরুরি’ বলে মন্তব‌্য করেছেন ‘সাসটেইনেবল ফান্ডিং ফর হেলথ প্রমোশন’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা।

সোম এবং মঙ্গলবার (৮-৯ ফেব্রুয়ারি) সম্মিলিতভাবে দুই দিনব‌্যাপী এ ভার্চুয়াল সম্মেলনের আয়োজন করে থাই হেলথ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানার্স, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট।

ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন থাই হেলথ এর প্রতিষ্ঠাতা প্রাকিত ভাতিসাতোগকিত, সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের উপদেষ্টা মুজাফফর হোসেন পল্টু, হেলথ ব্রিজ-এর অঞ্চলিক পরিচালক দেবরা ইফরইমসন প্রমুখ। 

সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়নে আামাদের ধারাবাহিক দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম পরিচালনা প্রয়োজন। আমাদের চিকিৎসা ব্যয় বাড়িয়ে স্বাস্থ্যের উন্নয়ন সম্ভব নয়। বরং আমাদের চিকিৎসা নির্ভর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যের মধ্যে বড় পার্থক্য রয়েছে। এ পার্থক্য আমাদের নির্ভুলভাবে নির্ধারণ করেই পরিকল্পনা করতে হবে।’ 

ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে সম্মলিত ভাবে কাজ করতে হবে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা গুরুত্বপূর্ণ। তামাকের ওপর নির্ধারিত সারচার্জ এবং স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পণ্য যেমন- চিনিযুক্ত পানীয়, একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিক, অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, চিপস এবং এ জাতীয় স্বাস্থ্যহানিকর মোড়কজাত খাদ্য, মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়ি, পরিবেশ দূষণকারী শিল্প কলকারখানা, যে সকল পণ্য ব্যবহারে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ প্রয়োজন- এয়ার কন্ডিশন, টেলিভিশন, মোবাইল ফোন ইত্যাদির ওপর সারচার্জ আরোপের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশনের আর্থিক যোগান নিশ্চিত করা যেতে পারে।’ 

মুজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, ‘আামাদের গবেষণায় আরও বেশি বিনিয়োগ করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এককভাবে জনগণের সুস্বাস্থ‌্য রক্ষা করা সম্ভব নয়। পরিবেশবান্ধব নগরায়ন, নিরাপদ খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি-বায়ুর নিশ্চিয়তা প্রয়োজন। ঢাকা দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরিবেশের সাথে স্বাস্থ্যের সবচেয়ে বেশি যুক্ত। স্বাস্থ্যখাতকে এখন বড় পরিসরে ভাবতে হবে। সুস্বাস্থ্যের আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সমন্বয় প্রয়োজন। এক্ষেত্রে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হেলথ প্রমোশন সফলতার সাথে কাজ করছে।’ 

দেবরা ইফরইমসন বলেন, ‘নাগরিকের শুধু চিকিৎসা নিশ্চিত করাই নয়, সরকারের অন্যতম দায়িত্ব প্রতি নাগরিকের সুস্বাস্থ্য ঠিক রাখা। সুস্বাস্থ্যের বিষয়টি শারিরীক স্বাস্থ্য, মানসিক স্বাস্থ্য ও সামাজিক স্বাস্থ্যের বিষয়গুলো জড়িত। সুস্থ থাকার জন্য নির্মল পরিবেশ, বিশুদ্ধ পানি-খাবার এগুলো প্রয়োজন।’

‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের জন্য কাজ করছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তবে পৃথক একটি প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন। যারা চিকিৎসা সেবার বাইরে জনগণের সুস্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে। সেক্ষেত্রে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশনের কথা ভাবা যায়।’ 

দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে তিনটি প্ল্যানারি, ছয়টি প্যারালাল, একটি অংশগ্রহণমূলক এবং একটি গণমাধ্যমের সাথে শেয়ারিং সেশন আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৪০০ জনেরও অধিক ব্যক্তি এ কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে ৪৫ জন অতিথি আলোচক উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/সনি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ